পুজো সংখ্যা
কিশোর কাহিনি
সেই বাড়ীটা কখনই ডিঙ্গানো হয়নি শুধু ফটকে দাড়িয়ে দেখেছি সুদৃশ্য স্বপ্নের দারুচিনি জানালার পর্দার সাথে উড়েছে ঈর্ষাকাতরতার ভেতর এক কিশোরের কাছে মায়াবী এক শহর
ছবি আঁকার স্কুল
পাড়ার প্রাইমারি স্কুলে ছুটির দিনে ছবি আঁকা শেখায় নবকাকা সবাই ছেলে মেয়েকে আঁকা,কম্পিউটার, গান,নাচ,তবলা,ক্যারাটে পন্ডিত করতে চায় ছত্রাক রঙের সারি সারি হরেক রকমের পাঠশালা
সম্পাদকীয়
বেশকিছু বছর আগে হাওয়ায় হাওয়ায় একটা কথা ভেসে বেড়াত , বাঙালি চরিত্রের মধ্যে সেই ব্যাপারটাই আর নেই, সেই এক্স ফ্যাক্টর।
বহত কঠিন হ্যায় ডগর পনঘটকি....খুব কঠিন রাস্তাটা, ঝিল হে তোমার
ও কিছুটা আগেই। এটাই হয়। ও আগে থাকে। সর্ষেফুলের হলুদ মাখে তার এই এগিয়ে থাকা। সে সংবাদপত্র পড়ে কিনা জানিনা। সংবাদ হয়, এই মাঠের অমনিবাস আর হলদেটে নিমন্ত্রণ পেরিয়ে তার যাওয়া। আমি অনুসরণ করি। কেন, জানিনা। কবে থেকে মনে নেই। চায়ের কাপ আর ঠোঁটের ভেতরে যে কখনো সখনো পিছলে পড়া সেরকমই পিছল কিছু হয় এই ফলো করার সময়। চা ঠোঁটে আসেনা। সেও আসেনা তার পিছনে, তার ফিরে তাকানো আছে, ফেরা নেই। আমের মুকুলে কিভাবে এসেছে হাওয়াদার কোরিওগ্রাফি, তাতে মুক্ত বাজারের ছাপ্পা, এসব পেরিয়ে আর যেতে পারিনা। কোয়েলটা জানে। ডাকে। কোয়েলিয়া কোথায়...
ওয়াহিদার হোসেনের তিনটি কবিতা
অস্ত্বিত্বের সবটুকু কিংবা অস্থির সবটুকু ঝাপ্সা ভাসিয়ে দিতে চাই পবিত্র স্রোতে
জ্যোতির্ময় বিশ্বাসের দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব চলচ্চিত্রের মতো, তখন আমাদের দেখানো হোক একটি মানুষের নিবিড়
বাতাসের স্পর্শে
এসো ছুঁয়ে যাও জল হয়ে দাগ হয়ে আমার যা কিছু আমার
দুর্গাপূজার একক উদ্যোগ থেকে সার্বজনীনতা
দুর্গাপূজা বাংলীর শ্রেষ্ঠ উৎসব। কথায় বলে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। কিন্তু বাংলায় উৎসবের চমক ১৬ আনা থেকে ১৮ আনায় পৌঁছে গেছে। দুর্গা পূজা তাদের মধ্যে অন্যতম। দুর্গা পূজার কথা শুনলে বাঙালির মনে প্রাণে আনন্দের জোয়ার নেমে আসে।
বাংলা বর্ণমালার শুরুতেই 'অ'কেন?
[বাংলা বর্ণমালার ধ্বনি-[=ধ্+ব+ন+ই], অর্থাৎ, [ধ্বনি=সদর্থক-ধারণা-(ধ্)+বাহীর-(ব)+সক্রিয়ণ-(ই) +অনকৃত-(ন) যার ভিতরে]-ধ্বনি, অর্থাৎ, বর্ণ-[=বরিত-(ব)-আবর্ত্তিত-(রেফ)-রহস্যময়ভাবে -অনকৃত-(ণ)]-সমূহের, তথা বর্ণমালার প্রতিবর্ণের লিপ্যন্তরিত রূপের সঙ্গে পরিচিত হতে হলে নিম্নলিখিত দার্শনিক ভাবধারাসমূহের ন্যূনতম ধ্যানধারণা থাকলে ভাল হয়।]
ডেথ সেন্টেন্স
তাকান। আপনাকেই বলছি। এদিক ওদিক তাকিয়ে লাভ নেই। এ ঘরে শুধু আপনিই আছেন। আমাকে দেখতে হবে না। পাবেন না। ওই ক্যালেন্ডারের ভেতর বসে আছেন রামকৃষ্ণ। মনে হচ্ছে এক্ষুণি উঠে এসে, আপনাকে কষিয়ে মারবে এক চড়, "শালা, পেপার পড়তে পড়তে যৌন চিন্তা!"
আমার শহর
অহংকার ক্ষয়ে ঝরছে মূর্হুমূহু বিস্ফোরণে ব্যাকরণ ভেঙে চেতনা দ্যোতক রাত্রি কুকুরের মতো পায়ে পায়ে ঘুরছে কেবল
রঙ্গমঞ্চ
পাড়ায় রক্তকরবী নাটক হচ্ছে। বলল সবাই
নাফিসা মিদ্যার দুটি কবিতা
সাবধানতায় অভাব ছিল না জোগাড় ছিল বাছাই করা নামি দামি সুগন্ধির তবুও অকাঙ্খিত গন্ধটাই ছড়িয়ে পড়ল জলজ্যান্ত কলের পুতুল গুলো হঠাৎ নড়ে গেল বাঁধা পথ ছেড়ে দলে দলে মিশে গেল ভীড়ে
ফেরী হাতে তাকে ডাকি
ফেরী হাতে তাকে ডাকি সেই ছেড়ে আসছি আয়না, ধুলোয় আঁকো সাদা পথ হেটলাইটে চাপা পড়া বৃষ্টি বাকল অন্ধকার ভোর, পা-ধোয়া নরঘাট চর আমি ফেরী হাতে তাকে ডাকি পুরোনো ঠিকানায়।
কাফন
শালকুঞ্জের বিপরীতে এম বি এ ডিপার্টমেন্ট তার পাশে একটা ছোট্ট নালা, কিছু ছোটো ছোটো গাছ, হাঁটু ভেজার মত জল।দুপুরবেলা, প্রচন্ড রোদ,গাছের ফাঁক দিয়ে রোদ চুঁইয়ে পড়ছে । দুজন মধ্যবয়সী মহিলা কাঠের বোঝা পায়ের কাছে নিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে । চোখ মুখে বয়সের সমান্তরাল দাগ। চুঁইয়ে আসা রোদের আলো, বয়সের দাগ আর বিষন্নতায় ভরা মুখ । বোধন সাইকেল চালিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল, রাস্তায় উঠতেই চোখাচোখি হল।দুটি মহিলার মধ্যে একজন বললেন
কয়েকটি কবিতা
খতম তালিকার বাইরে যে দরবেশ গুচ্ছ বাতাস আমায় অক্ষর দেবে দেবে সোহাগচিহ্নের ছটফটে ঘর নাদানে ঝকঝকে টিউকল বসেছে সে পোশাক চেনায় সে সামন্ততান্ত্রিক
আবহ
যে পথ রোজকার দেখা,তার সামান্য দূরত্ব থেকে হাঁটু মুড়ে,চুপচাপ এই তাকিয়ে থাকা এ যেন নিজের ভেতর থেকে নিজেকে খুলে ফেলা
রঞ্জন মৈত্রের দুটি কবিতা
প্রশ্ন উত্তর সব ঝ'রে গেলে ফাঁকা ফাঁকা স্কুল নো ম্যানস ল্যাণ্ডের গাছ শীত বসন্তের বিএসএফ কি যেন পাচার হবে নির্ধারিত আলোয় গুলি ছুটবে দ্রুত আর স্কুল হওলে হওলে ধরা পড়ার পথে পথে ছড়ানো লুজ শিট
সাজ্জাদ সাঈফের তিনটি কবিতা
১. নিঃসঙ্গ : অচেনা পাখির শিস তাড়া করে বৈচিত্র্যে। বেড়ে উঠি তত্সম বোধে, মেঘের আদরে, মাতৃভাষায়! তারপর ঘাস ডুমুর ছড়ানো ঘাস ভিটার মাচানে ঘাস সমুদ্র সম্ভ্রমে কারো হৃদয় অংকন করে!
যে সময় স্থির হতে জানে না
ধন্যযোগ আপনাকে, আমাদের এভাবে সাহসী করে তোলার জন্য নইলে তো ভেবে নিয়েছিল সকলে ফসিল আমরা, সবেতেই বড় বেশি প্রসন্ন সিংহাসনে বসলে রাজা একবার পুজো দিই, পাদ্যঅর্ঘ, যেন ভগবান স্বর্গ থেকে নির্বাচিত, নেমেছেন দয়া করে
ভাত ঘুম ও শব্দ
(১) যেন সে সমবয়সি মাথা গুঁজে রাখে শিশুর ঘুমন্ত দরজার বন্ধ ঈশ্বরে । তাদের কাছেই হাজারও পাকস্হলী লুপ্ত হয়ে ফিরে আসে ।কি নিষ্ঠুরতায়? দুশো আড়াইশো বছর সুখী করে উনুন । তুষের আগুনে সেই বৃদ্ধ হাত পা গুটিয়ে বসেছিলো ।
কয়েকটি কবিতা
ঠিক একদিন উড়ে যাবে মায়া ফেলে,ছায়া ও খাঁচা ফেলে দূরে,বহুদুর যতটা বলে চিনিয়ে ছিল আকাশ বাতাস পৃথিবী মা মাতৃভূমি
চারটি কবিতা
বিশ্বাসের প্রশাখায় ধোঁকার নীলাভ ফুল নিজস্ব মণিকর্ণিকায় হেরে যাই তোমার প্রথম দিন আর তোমার শেষ দিনের মাঝে সাতটি গিরগিটি
কয়েকটি কবিতা
নাভিতে ভীষন শীত।তোমার স্তনে আঙুল রাখি। ঘাড়ে হাত বোলাই ভাঁজ করা রুমালের মত। ক্লিভেজে ঘাম জমলে দেখতে পাই সক্রিয় তিল সঙ্গম অনেকটাই ডুবসাঁতার। বিবাহ মানে আংটি ও আঙুল। মধ্যরাতের সঙ্গম শেষ হলে হেমন্তের মাঠে বেজে ওঠে সা রে গা মা
কয়েকটি কবিতা
বহুদূরে একটা গাছের শরীরে ঘুমিয়ে পড়েছে চড়ুই তার দেহ জুড়ে ক্লান্ত অবস্বাদ ঘুমিয়ে পড়বার আগে কী ভেবেছিল পাখি? হয়তো তার মা অপেক্ষা করছে, অথচ ভাইয়েরা নবী ইউসুফের মতো তাড়িয়ে দিয়েছিল ঘর থেকে, গহীনে।
দুটি কবিতা
তুমি সুদীর্ঘ মৌনতা নিয়ে / বিরান প্রান্তে একাকী ময়ূরী / ঘোর বরষায় / ভেঙে ভেঙে যায় ভরা বিকেল / খসে খসে পড়ে ফলবতী চাঁদ আর / সূর্য দহনে আমার জ্বালা পোড়া হয়/
দুটি কবিতা
পিকনিক বসেছে আলু কপির আই ডি ঘষে ঘষে পরীক্ষা এদিকটা কনভয় শুধু বালি বা বরফেই যুদ্ধ আটকে থাকে না আমার খিচুড়ির বালতিও ফুঁসে উঠছে অভিমান
দুটি কবিতা
আমার চোখে দেখো, গভীর চোখে- করুণ বনাঞ্চলে এক ফুল ফুটে আছে। উন্মুখ তবু চুপ,নৈঃশব্দে বনানীর বাড়ন তাই,ফুল ফুটার সুখেও সুর গান বারণ।
নতুনভাবে শিখে নাও
যাদেরকে তালুতে তুলে রেখেছি তাদের দেখলে তুমি শিউরে উঠবে, শুধু তাদের কথা বলব কেন এই সাক্ষাৎকারে, তুমিও বলো ভালো-মন্দ বা যা যা অন্যায় হয়েছে তোমার সাথে, বাড়িতে সবাই কেমন আছে,
কয়েকটি কবিতা
এতটা নিখুঁত হলে চলে না কিছুটা খুঁত নিয়ে দিব্যি বেঁচে থাকা যায়। কখনো হাসির গমকে ব্যথার বাদ্য বেজে উঠলে কখনো সুরের গভীরে আরেক সুরের বোঝাপড়া হলে সহজেই মুছে ফেলা যায়- দৃশ্যবাহিত দিন।
12 AM
12 AM বলে একখানি ব্যান্ড ছিল। বাংলাদেশের। লিড সিংগারের নামটা মনে পড়ছে না এ মুহূর্তে, কী জানি পরে হয়তো যদি আসে ঘুম, ঘুমের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে মনে পড়ে যাবে সে। সে ব্যান্ডটা বোধয় টেকেনি, পরে লিড সিংগার আরেক ব্যান্ড বানিয়েছিল যার নামটাও মনে নেই। ইদানীং এমনিতেও ভুলে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়েছে, বুঝি। এত্ত পাসওয়ার্ড চারিদিকে ছড়ানো, মানিব্যাগের (ওয়ালেট বলেন কেউ; যে এখন ভার্চুয়াল কড়ির পরিচিত আবাস) কথা ভুলে যাও, এমনি পকেটেই যেটাকে ছোটবেলা থেকে জ্যাব্ বলে ডাকি, চিনি, তাতেও যখন খুচরো কয়েনগুলো দেশজোড়া উঠে যাওয়ার পর কোনো খুচরো নোট রাখি সেটাও মনে রাখতে পারি না।