গদ্য
সকল পোস্টসমূহ
আমার রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ হলেন জ্ঞান ও বোধ। তোমাদের আঁচলে কি ? কি বাঁধা আছে ? জ্ঞান ও বোধ বেঁধে রেখেছো কেন ? আঁচলে চাবি গোছা।তার সাথে রবীন্দ্রনাথ।সকল মায়ের আঁচলে বাঁধা।সন্তান ছুটতে ছুটতে চলে এল।চোখে ঘাম।মুখে ঘাম।পায়ে ধুলা।ছেলে মেয়ের পৃথক গামছা।গামছায় ছেলে মেয়ে পরিস্কার হল। মা ওদের তো রবীন্দ্রনাথ দিলে না ? রবীন্দ্রনাথ গামছায় নেই।রবী আছেন আঁচলে।
রঞ্জিত কথা - শঙ্খ ঘোষ
রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি-র সেই কথা মনে পড়ে –‘আমাদের ভিতরের এই চিত্রপটের দিকে ভালো করিয়া তাকাইবার আমাদের অবসর থাকে না। ক্ষণে ক্ষণে ইহার এক-একটা অংশের দিকে আমরা দৃষ্টিপাত করি। কিন্তু ইহার অধিকাংশই অন্ধকারে অগোচরে পড়িয়া থাকে’। সেই অন্ধকারে এঁকে রাখা ছবিগুলো যা রঞ্জিত সিংহ’র ভেতরে একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে থেকে গিয়েছিলো, আমি সেগুলোকেই আলোয় আনতে চেয়েছি। ‘রঞ্জিতকথা’ তাই।
গাছ
চুপ করে বসে থাক আর শোন। গাছেরাও কথা বলে জানলাম কাল। সকালে হাই তোলার মত করে গাছেরাও শব্দ করে শুকনো,ভেজা পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফ্যালে সকালের প্রথম হাওয়ায়। তারপর একটু হাত পা নাড়িয়ে ব্যায়াম করে, সকালের রোদে। শুকনো ডালগুলোর মড়মড় আওয়াজ শুনলে বুঝবি।
সম্পাদকীয়
মড়ক লেগেছে নাকি খরা ! বাঙালি মনন বাঙালির ভাষা, বিস্মৃত তার ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব । সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে এই ধারণা ভীষণ রকম ভুল বলে প্রমাণিত হবে। বছরে বছরে যেভাবে গজিয়ে উঠছে অগণন লিটিল ম্যাগাজিন , সামাজিক মাধ্যমে অবিরত বয়ে যাচ্ছে সাহিত্যের বহতা ধারা ।
রবীন্দ্রনাথ থেকে বর্তমান : গ্রাম বাংলার জীবন যাপন
একটা গোটা সমাজের জীবন যাপনের মান নির্ভর করে, সেই সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিক অবস্থান, জ্ঞান চর্চা ও শিল্প চর্চা ইত্যাদির উপরে । জ্ঞানচর্চা বা শিল্পচর্চায় বাঙালি শুধু মাত্র আমাদের দেশে নয় সারা বিশ্বে সম্মানিত হয়ে এসেছে ।
বাঙালীর নববর্ষ
নববর্ষ হল বাংলা পঞ্জিবাঙালীর নববর্ষকার প্রথম মাসের পহেলা দিন। তথা বঙ্গাব্দের প্রথম দিন হলো বাংলার নববর্ষ। দিনটি সমগ্র বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। গতানুগতিক জীবনধারার মধ্যে নববর্ষ নিয়ে আসে নতুন সুর, নতুন উদ্দীপনা। পুরানো দিনের গ্লনি জোড়াকে মুছে দিয়ে এক রাশ হাঁসি, আনন্দ আর গান দিয়ে ভুলিয়ে দিয়ে যায় এই নববর্ষ। সেই প্রাচীনকাল থেকে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এটি বাঙালির অত্যন্ত প্রাণের উৎসব। শুধু আনন্দ উল্লাসই নয়, সকল মানুষের জন্য কল্যাণ কামনারও দিন। আমরা সকলেই সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশা নিয়েই মহা ধুমধামের সঙ্গে আমাদের নববর্ষ উদযাপন করি। একে অন্যকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে বলি ”শুভ নববষ”।
রবীন্দ্রগানে কথা এবং ভাব
রবীন্দ্রনাথের সমস্ত গানকেই কিছু পর্যায় বা পর্বে ভাগ করা হয়ে থাকে। যার একটি ‘স্বদেশ’ পর্যায়ের গান। সে গানের সংখ্যা খুব কম নয়। কারণ, রাজ ও সমাজনীতি নিয়ে কবির যথেষ্ট উৎসাহ তাঁর সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন বিভাগেই লক্ষ করা যায়। সেক্ষেত্রে গান আরও বেশি কমিউনিকেটিভ।
ডেথ সেন্টেন্স
তাকান। আপনাকেই বলছি। এদিক ওদিক তাকিয়ে লাভ নেই। এ ঘরে শুধু আপনিই আছেন। আমাকে দেখতে হবে না। পাবেন না। ওই ক্যালেন্ডারের ভেতর বসে আছেন রামকৃষ্ণ। মনে হচ্ছে এক্ষুণি উঠে এসে, আপনাকে কষিয়ে মারবে এক চড়, "শালা, পেপার পড়তে পড়তে যৌন চিন্তা!"
সম্পাদকীয়
বেশকিছু বছর আগে হাওয়ায় হাওয়ায় একটা কথা ভেসে বেড়াত , বাঙালি চরিত্রের মধ্যে সেই ব্যাপারটাই আর নেই, সেই এক্স ফ্যাক্টর।
12 AM
12 AM বলে একখানি ব্যান্ড ছিল। বাংলাদেশের। লিড সিংগারের নামটা মনে পড়ছে না এ মুহূর্তে, কী জানি পরে হয়তো যদি আসে ঘুম, ঘুমের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে মনে পড়ে যাবে সে। সে ব্যান্ডটা বোধয় টেকেনি, পরে লিড সিংগার আরেক ব্যান্ড বানিয়েছিল যার নামটাও মনে নেই। ইদানীং এমনিতেও ভুলে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়েছে, বুঝি। এত্ত পাসওয়ার্ড চারিদিকে ছড়ানো, মানিব্যাগের (ওয়ালেট বলেন কেউ; যে এখন ভার্চুয়াল কড়ির পরিচিত আবাস) কথা ভুলে যাও, এমনি পকেটেই যেটাকে ছোটবেলা থেকে জ্যাব্ বলে ডাকি, চিনি, তাতেও যখন খুচরো কয়েনগুলো দেশজোড়া উঠে যাওয়ার পর কোনো খুচরো নোট রাখি সেটাও মনে রাখতে পারি না।
দুর্গাপূজার একক উদ্যোগ থেকে সার্বজনীনতা
দুর্গাপূজা বাংলীর শ্রেষ্ঠ উৎসব। কথায় বলে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। কিন্তু বাংলায় উৎসবের চমক ১৬ আনা থেকে ১৮ আনায় পৌঁছে গেছে। দুর্গা পূজা তাদের মধ্যে অন্যতম। দুর্গা পূজার কথা শুনলে বাঙালির মনে প্রাণে আনন্দের জোয়ার নেমে আসে।
বাংলা বর্ণমালার শুরুতেই 'অ'কেন?
[বাংলা বর্ণমালার ধ্বনি-[=ধ্+ব+ন+ই], অর্থাৎ, [ধ্বনি=সদর্থক-ধারণা-(ধ্)+বাহীর-(ব)+সক্রিয়ণ-(ই) +অনকৃত-(ন) যার ভিতরে]-ধ্বনি, অর্থাৎ, বর্ণ-[=বরিত-(ব)-আবর্ত্তিত-(রেফ)-রহস্যময়ভাবে -অনকৃত-(ণ)]-সমূহের, তথা বর্ণমালার প্রতিবর্ণের লিপ্যন্তরিত রূপের সঙ্গে পরিচিত হতে হলে নিম্নলিখিত দার্শনিক ভাবধারাসমূহের ন্যূনতম ধ্যানধারণা থাকলে ভাল হয়।]