৭ মে, ২০২৪
গাছ
 গাছ
চুপ করে বসে থাক আর শোন। গাছেরাও কথা বলে জানলাম কাল।  সকালে হাই তোলার মত করে গাছেরাও শব্দ করে শুকনো,ভেজা পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফ্যালে সকালের প্রথম হাওয়ায়। তারপর একটু হাত পা নাড়িয়ে ব্যায়াম করে, সকালের রোদে। শুকনো ডালগুলোর মড়মড় আওয়াজ শুনলে বুঝবি।
কালকে সারাদিন একটা গাছের নীচে বসে কাটিয়েছি। 
রোদে  দিনেও তারা জন্মায় গাছের ফাঁকে।  গাছটার জাইলেম আর ফ্লোয়েম ট্রেনের হকারির মত করে ডাকাডাকি করে। "এই পাণিঠান্ডা পাণিঠান্ডা, এই খাবার খাবার"।
 
আজকাল কি একটা রোগ হয়েছে জানি আমার মানুষের হাসির রঙ বুঝতে পারি না, কোনটা সাদা, কোনটা কালো। সেই আমি গাছের হাসি বুঝতে পারবো বিশ্বাস হয় না।  শুনেছি স্তব্ধতার একটা সূত্র আছে, স্তব্ধতা মানুষকে উকিল করে দেয় আর দ্রুততা মানুষকে বিচারপতি। আমি  সেই স্তব্ধীকৃত দ্রুততার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজি কখন মানুষ গাছ হয়ে যায়।
 
দুপুরের রোদে গাছটার কোনো সাড়াশব্দ নেই, নিশ্চয়ই ভাত ঘুম দিয়েছে। ওহ যা: গাছ তো ভাত খায় না, তাহলে কি বলবো আলোঘুম দিয়েছে বা জলঘুম? কি জানি 
এসব কথা কাউকে বলতে গেলে পাগল বলবে । গাছ বলে নিশ্চিন্ত আছি,  গাছ তো আর কথা বলে না। 
 
 
রাত্রিবেলা গাছটার পাতার ডালের ফাঁকে বাতাস জমা হয়ে যেন কথা হয়ে গেছে,  সুরুসুরু করুন আওয়াজ করতে থাকে একটা। অস্ফুট কথার মত। গাছের দু:খ বলে কোনো রোগ নেই পৃথিবীর । তাই গাছ চলতে পারে না,  দু:খ জমা হতে হতে পাথর হয়ে যায়, আমি সেই অপেক্ষায় রাত্রি জাগি যে রাত্রে আমি গাছ হয়ে যাব। 

সংশ্লিষ্ট পোস্ট

রঞ্জিত কথা - শঙ্খ ঘোষ
সব্যসাচী হাজরা

রঞ্জিত কথা - শঙ্খ ঘোষ

রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি-র সেই কথা মনে পড়ে –‘আমাদের ভিতরের এই চিত্রপটের দিকে ভালো করিয়া তাকাইবার আমাদের অবসর থাকে না। ক্ষণে ক্ষণে ইহার এক-একটা অংশের দিকে আমরা দৃষ্টিপাত করি। কিন্তু ইহার অধিকাংশই অন্ধকারে অগোচরে পড়িয়া থাকে’। সেই অন্ধকারে এঁকে রাখা ছবিগুলো যা রঞ্জিত সিংহ’র ভেতরে একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে থেকে গিয়েছিলো, আমি সেগুলোকেই আলোয় আনতে চেয়েছি। ‘রঞ্জিতকথা’ তাই।

গদ্য৮ মে, ২০২৪
আমার রবীন্দ্রনাথ
ভবেশ বসু

আমার রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথ হলেন জ্ঞান ও বোধ। তোমাদের আঁচলে কি ? কি বাঁধা আছে ? জ্ঞান ও বোধ বেঁধে রেখেছো কেন ? আঁচলে চাবি গোছা।তার সাথে রবীন্দ্রনাথ।সকল মায়ের আঁচলে বাঁধা।সন্তান ছুটতে ছুটতে চলে এল।চোখে ঘাম।মুখে ঘাম।পায়ে ধুলা।ছেলে মেয়ের পৃথক গামছা।গামছায় ছেলে মেয়ে পরিস্কার হল।  মা ওদের তো রবীন্দ্রনাথ দিলে না ? রবীন্দ্রনাথ গামছায় নেই।রবী আছেন আঁচলে।

গদ্য৭ মে, ২০২৪
 বাঙালীর নববর্ষ
বরুন চন্দ্র বর্মন

বাঙালীর নববর্ষ

নববর্ষ হল বাংলা পঞ্জিবাঙালীর নববর্ষকার প্রথম মাসের পহেলা দিন। তথা বঙ্গাব্দের প্রথম দিন হলো বাংলার নববর্ষ। দিনটি সমগ্র বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। গতানুগতিক জীবনধারার মধ্যে নববর্ষ নিয়ে আসে নতুন সুর, নতুন উদ্দীপনা। পুরানো দিনের গ্লনি জোড়াকে মুছে দিয়ে এক রাশ হাঁসি, আনন্দ আর গান দিয়ে ভুলিয়ে দিয়ে যায় এই নববর্ষ। সেই প্রাচীনকাল থেকে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এটি বাঙালির অত্যন্ত প্রাণের উৎসব। শুধু আনন্দ উল্লাসই নয়, সকল মানুষের জন্য কল্যাণ কামনারও দিন। আমরা সকলেই সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশা নিয়েই মহা ধুমধামের  সঙ্গে আমাদের নববর্ষ উদযাপন করি। একে অন্যকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে বলি ”শুভ নববষ”। 

গদ্য৭ মে, ২০২৪