৭ মে, ২০২৪
আমার রবীন্দ্রনাথ
আমার রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ হলেন জ্ঞান ও বোধ।
তোমাদের আঁচলে কি ? কি বাঁধা আছে ? জ্ঞান ও বোধ বেঁধে রেখেছো কেন ?
আঁচলে চাবি গোছা।তার সাথে রবীন্দ্রনাথ।সকল মায়ের আঁচলে বাঁধা।সন্তান ছুটতে ছুটতে চলে এল।চোখে ঘাম।মুখে ঘাম।পায়ে ধুলা।ছেলে মেয়ের পৃথক গামছা।গামছায় ছেলে মেয়ে পরিস্কার হল।
 মা ওদের তো রবীন্দ্রনাথ দিলে না ? রবীন্দ্রনাথ গামছায় নেই।রবী আছেন আঁচলে।
আঁচলের দুই কাজ একসাথে।শরীর বেয়ে ঢুকে যেত জ্ঞান।আর হাতে পায়ে বোধ।একসাথে রবি ও তার কবিতা।ধুয়ে মুছে নতুন।
   খোকা ইংরাজি বলছে।বলুক না।খোকা হিন্দি বলে যাচ্ছে।খোকার সব ভাষায় দখল।খোকা ডাক্তার।খোকা ইঞ্জিনিয়ার।
   ছেলে মা বাবাকে ডাকলো একদিন।তোমাদের জন্য নতুন ঘর দেখেছি।নাম বৃদ্ধাশ্রম।সব পুরানো এক জায়গায়।সকল ঝরাপাতা।
   কি বলছিস খোকা ? মায়ের চোখে জল।মায়ের আঁচলে তখনো বাঁধা বোধ।আস্ত এক রবীন্দ্রনাথ।দিতে পারছে না।আগে দেওয়া হয় নি।আঁচল তালা আজ খুলছে না।ঘরের চাবি নেই।
     কে বলল রবীন্দ্রনাথ বাঙালির ! জ্ঞান কোনো সম্প্রদায়ের নয়।জ্ঞান মানবের।মানব সন্তানের। সূর্যের আলো সব বাড়িতে।সকল দেশের।সবকটি সভ্যতার।
দাবানল জ্বলে উঠেছে।উপর থেকে জল দিল সকলে।দাবানল নিভছে না।সমুদ্র নিয়ে ঢাললেও একভাগ স্থল জ্বলবে।
         একদিন একটা ঘটনা ঘটবেই।খুব সুন্দর ঘটনা।সন্তান খুব ভোরে উঠেছে।দীঘির পাড়ে দাঁড়াল।দীঘি মাখছে ছেলে।পদ্ম তুলে নিয়ে এল।হাতে এক ফোঁটা রক্ত নেই।
মা ওঠো।দেখ কি এনেছি।তোমার পায়ে দেবো।
এ কি করছিস খোকা !ঠাকুরের জন্য রাখো।
ছেলে বলল,এতদিন ঠাকুরের পায়ে দিয়েছি।আজ পদ্ম  ফুটবে তোমার পায়ে ।
মা দেখছে ছেলেকে।মাথা থেকে সারা শরীর।খোকায় রবীন্দ্রনাথ লেখা হয়ে আছে।
 
 

সংশ্লিষ্ট পোস্ট

রঞ্জিত কথা - শঙ্খ ঘোষ
সব্যসাচী হাজরা

রঞ্জিত কথা - শঙ্খ ঘোষ

রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি-র সেই কথা মনে পড়ে –‘আমাদের ভিতরের এই চিত্রপটের দিকে ভালো করিয়া তাকাইবার আমাদের অবসর থাকে না। ক্ষণে ক্ষণে ইহার এক-একটা অংশের দিকে আমরা দৃষ্টিপাত করি। কিন্তু ইহার অধিকাংশই অন্ধকারে অগোচরে পড়িয়া থাকে’। সেই অন্ধকারে এঁকে রাখা ছবিগুলো যা রঞ্জিত সিংহ’র ভেতরে একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে থেকে গিয়েছিলো, আমি সেগুলোকেই আলোয় আনতে চেয়েছি। ‘রঞ্জিতকথা’ তাই।

গদ্য৮ মে, ২০২৪
 গাছ
হিমাংশু রায়

গাছ

চুপ করে বসে থাক আর শোন। গাছেরাও কথা বলে জানলাম কাল।  সকালে হাই তোলার মত করে গাছেরাও শব্দ করে শুকনো,ভেজা পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফ্যালে সকালের প্রথম হাওয়ায়। তারপর একটু হাত পা নাড়িয়ে ব্যায়াম করে, সকালের রোদে। শুকনো ডালগুলোর মড়মড় আওয়াজ শুনলে বুঝবি।

গদ্য৭ মে, ২০২৪
 বাঙালীর নববর্ষ
বরুন চন্দ্র বর্মন

বাঙালীর নববর্ষ

নববর্ষ হল বাংলা পঞ্জিবাঙালীর নববর্ষকার প্রথম মাসের পহেলা দিন। তথা বঙ্গাব্দের প্রথম দিন হলো বাংলার নববর্ষ। দিনটি সমগ্র বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। গতানুগতিক জীবনধারার মধ্যে নববর্ষ নিয়ে আসে নতুন সুর, নতুন উদ্দীপনা। পুরানো দিনের গ্লনি জোড়াকে মুছে দিয়ে এক রাশ হাঁসি, আনন্দ আর গান দিয়ে ভুলিয়ে দিয়ে যায় এই নববর্ষ। সেই প্রাচীনকাল থেকে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এটি বাঙালির অত্যন্ত প্রাণের উৎসব। শুধু আনন্দ উল্লাসই নয়, সকল মানুষের জন্য কল্যাণ কামনারও দিন। আমরা সকলেই সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশা নিয়েই মহা ধুমধামের  সঙ্গে আমাদের নববর্ষ উদযাপন করি। একে অন্যকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে বলি ”শুভ নববষ”। 

গদ্য৭ মে, ২০২৪