বেশকিছু বছর আগে হাওয়ায় হাওয়ায় একটা কথা ভেসে বেড়াত , বাঙালি চরিত্রের মধ্যে সেই ব্যাপারটাই আর নেই, সেই এক্স ফ্যাক্টর। ক্রমে বুদ্ধিজীবীদের বিতর্ক সভা , বন্ধুদের বৈঠকী আড্ডা থেকে শুরু করে চায়ের দোকান , পাড়ার মোড়, এমনকি কিছু কিছু গান, কবিতাতেও বাঙালির চরিত্র বদল একটা অন্যতম মুখ্য বিষয় হয়ে উঠল। তারপর তো নির্লজ্জের মতো হাটে বাজারে তার চরিত্র স্খলনের ভুরি ভুরি প্রমাণ দেখা গেল। কোথায় হারালো সেই নির্লোভ আলগা বৈরাগ্য, সেই বিপ্লবী মনোভাব, সেই অন্যের বিপদে নিঃস্বার্থ একাত্ম হওয়া। বাঙালি কি সম্পূর্ণ ভাবেই ভুলে গেল আপন ভোলা সকলের গান গাইতে! বিস্মৃত বাঙালি যখন ইতিহাস হব হব পর্যায়ে, তখনই সে দেওয়ালে নিজের শেষ অস্তিত্বটুকু মিশিয়ে দেওয়ার আগে ঘুরে দাঁড়ানোই ঠিক মনে করল। যে বাঙালি বিলুপ্ত প্রজাতি হিসাবে ইতিহাস হতে চলেছিল, সেই বাঙালি নতুন এক ইতিহাসের জন্ম দিল। ২০২৪ সালটা আগামীর পৃথিবীকে বাঙালি বিপ্লবের এক অন্যতম অধ্যায় দান করল। সৈয়দ মুজতবা আলী বাঙালির বিদ্রোহী চরিত্র সম্পর্কে বলেছিলেন, "ধর্ম বদলালেই জাতির চরিত্র বদলায় না।" ২০২৪ দেখালো কাঁটাতারের এপার হোক বা ওপার বাঙালি এখনও বাঙালিই আছে। আবার সে দেশ কালের গণ্ডি পেরিয়ে, অতিপ্রিয় ভাতঘুম ছেড়ে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত শুভ চেতনার দাবিতে আকাশের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছে লাখ লাখ মুঠো। কখনও সে ধীশক্তির পূজায় অনায়াসে বিলিয়ে দিয়েছে শতাধিক প্রাণ, কখনো এক তিলোত্তমার রক্ত-অশ্রুর বেদনায় চোখে আগুন জ্বালিয়ে কণ্ঠে বাজিয়ে চলেছে বিরামহীন নতুন আগমনীর সকলের গান।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
আমার রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ হলেন জ্ঞান ও বোধ। তোমাদের আঁচলে কি ? কি বাঁধা আছে ? জ্ঞান ও বোধ বেঁধে রেখেছো কেন ? আঁচলে চাবি গোছা।তার সাথে রবীন্দ্রনাথ।সকল মায়ের আঁচলে বাঁধা।সন্তান ছুটতে ছুটতে চলে এল।চোখে ঘাম।মুখে ঘাম।পায়ে ধুলা।ছেলে মেয়ের পৃথক গামছা।গামছায় ছেলে মেয়ে পরিস্কার হল। মা ওদের তো রবীন্দ্রনাথ দিলে না ? রবীন্দ্রনাথ গামছায় নেই।রবী আছেন আঁচলে।
রঞ্জিত কথা - শঙ্খ ঘোষ
রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি-র সেই কথা মনে পড়ে –‘আমাদের ভিতরের এই চিত্রপটের দিকে ভালো করিয়া তাকাইবার আমাদের অবসর থাকে না। ক্ষণে ক্ষণে ইহার এক-একটা অংশের দিকে আমরা দৃষ্টিপাত করি। কিন্তু ইহার অধিকাংশই অন্ধকারে অগোচরে পড়িয়া থাকে’। সেই অন্ধকারে এঁকে রাখা ছবিগুলো যা রঞ্জিত সিংহ’র ভেতরে একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে থেকে গিয়েছিলো, আমি সেগুলোকেই আলোয় আনতে চেয়েছি। ‘রঞ্জিতকথা’ তাই।
গাছ
চুপ করে বসে থাক আর শোন। গাছেরাও কথা বলে জানলাম কাল। সকালে হাই তোলার মত করে গাছেরাও শব্দ করে শুকনো,ভেজা পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফ্যালে সকালের প্রথম হাওয়ায়। তারপর একটু হাত পা নাড়িয়ে ব্যায়াম করে, সকালের রোদে। শুকনো ডালগুলোর মড়মড় আওয়াজ শুনলে বুঝবি।