৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
কয়েকটি কবিতা
বিবাহ
নাভিতে ভীষন শীত।তোমার স্তনে আঙুল রাখি।
ঘাড়ে হাত বোলাই ভাঁজ করা রুমালের মত।
ক্লিভেজে ঘাম জমলে দেখতে পাই সক্রিয় তিল
সঙ্গম অনেকটাই ডুবসাঁতার।
বিবাহ মানে আংটি ও আঙুল।
মধ্যরাতের সঙ্গম শেষ হলে হেমন্তের মাঠে বেজে ওঠে
সা রে গা মা
কাম ও কাচুলি
এরপর জোড়াপুকুর,হাঁসের পিঠে ঘুঘু
জমে থাকা শুকনো পাতায় আগুন জ্বলে উঠলে
পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে চাপা কান্না।
কেউ কেউ মগডালে উঠে পড়বার কৌশল জানে
দুই ভুরুর নিচে ছুঁয়ে থাকা ধূর্ত আঙুল
পাখিদের নিজস্ব উপত্যকা।ভিখিরিদের গান।
কাম ও কাচুলি নিয়ে আমরা স্মরণসভায়
যাই।
মোনাজাত
সমস্ত ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেব
আলো কমে আসা শহর
তাঁতশিল্পের এই দেশ জুড়ে
অনবরত হালুম ডাক জেগে থাকে
স্বরবর্ণ ও কাঁঠাল পাতা
লিখি বৃষ্টি,জল আর গমখেত
প্রতিটি আজানের শেষে তোমার
মোনাজাত
নাচ
কি ভীষন ব্যাক্তিগত হয়ে উঠছে আমাদের জীবন!
গুড়া মাছের চচ্চড়ির লোভে দু_চারটে বেড়াল
হেলানো ল্যাম্পপোস্টের খুব কাছ থেকে শিকারি
ফিরে যাচ্ছেন
ছায়ার কাছে আমাদের কত ঋণ।
চারণভূমির পাশে শাক কুড়ানো তিন বুড়ি গোল হয়ে
নাচে
দাম্পত্য
দাম্পত্য আসলে ঘাসের বিছানা।ম্লান হাসি পেরিয়ে
কোথাও না কোথাও আমাদের যেতে হবে।
বাগান ভরা ফুলগাছ।
পথে পথে বিবাহনাচ।
অথচ সামান্য আলপিন খুব একা করে
দেয়।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
ওয়াহিদার হোসেন
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
কবিতা৭ মে, ২০২৪
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
কবিতা৭ মে, ২০২৪
শ্রী সদ্যোজাত
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,
কবিতা৭ মে, ২০২৪