৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
আমার শহর
আমার শহর
অহংকার  ক্ষয়ে ঝরছে
মূর্হুমূহু বিস্ফোরণে ব্যাকরণ ভেঙে  
চেতনা দ্যোতক রাত্রি
কুকুরের মতো 
পায়ে পায়ে ঘুরছে কেবল 
 
অকারণ অকারণে বহুদূরে জলের আড়ালে
বৃদ্ধ মুছে ফেলছে নাম
                            স্মৃতি ভবিষ্যত 
আর্তনাদ মৃত্যু আর বিছুটি পাতার ঘন ঘ্রাণ
 
 
ক।। 
 
রাসায়নিকের গন্ধ ছোট বেলাটিকে মনে করায়;
যথেষ্ট ছায়ার কাছে আরও বেশী ঘন
তুমুল গ্রীষ্মদিন ফিরে আসে ঘাটে আগাছায় 
 
গল্প শোনা হয় না ইদানিং
ঘামে ভেজা রাস্তায়,
নোনা ধরা আনাচেকানাচে...
 
 
খ।। 
 
মৃতা মা'কে মনে রেখে
যে যুবতী মা হয়ে ওঠে প্রাণপনে 
 
তারও চোখে সন্ধ্যা ধরে
হাট বাজারের মফস্বলে 
 
সেজে ওঠা বেমানান 
অজরুরী স্বপ্ন সম্ভার
তাকেও নিকটে ডাকে 
 
সেও ভাবে, কি যে ভাবে! 
 
পৌরুষ সে কথা জানে না... 
 
গ।। 
 
এখানে পানীয় কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানায় নেই;
সমস্ত শহর জুড়ে ভূলুন্ঠিত পুরাকাল ... 
 
যে কোন পাড়ার মোড়ে সদ্য জাগা 
                                            নতুন মন্দির
জল বলতে শান্তি বোঝে 
 
বেহায়া দুঃখ নিয়ে একা হেঁটে যায় যে পাগল 
সেই জানে জল কি
শান্তি নাকি কন্টামিনেশন... 
 
ঘ।। 
 
এখানে প্রবাল থাকত।
স্কুলবেলাকার সেই মারামারি দিন
এখনও মাথায় ফিরে আসে 
 
কি কারনে রক্তপাত
আজ এই জারুল দিনে
সেই তথ্য বিস্মৃত হয়ে
মফস্বল হাঁপ নেয়
গড়ে ওঠা সান্ধ্য আজানে... 
 
ঙ।। 
 
যে নৌকো ডুবেছে তার
ছেঁড়া কাছি যে এনেছে তুলে 
 
সে এই অর্ধেক ভোর
সে এই প্রথম অভ্যাস 
 
ঘুমোঘোরে এটুকুই,
এটুকুই স্মৃতির অধিক  ... 
 
চ।। 
 
সপ্তপর্ণী ঘ্রাণে ফুলে
যে ঋতু ছড়িয়ে ছিল
সারাটা জীবন 
 
সেও যায়, যাত্রাপথে
সেও ঈষৎ হেসে- থেমে 
 
তুলে নেয় গা জোয়ারি 
 
কেবল নরমে ভাসে ন্যাকড়ায় 
জড়ানো সকাল... 
 
ছ।। 
 
দিন কিন্তু থামে
নিজের সম্পূর্ণ  নাম লিখে 
তার পাকে তুমিও জড়াও 
 
প্রিয় সর্বনাম, 
এই কাল, ভালোবাসা 
 
এত কথা অকারণ...
মেঘও জমে অকারণে
 
 
 
#নীলাদ্রি বাগচি। দার্জিলিং। 
একমনে লক্ষ্য করে যাও
 
 
 
 

সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
ওয়াহিদার হোসেন

কয়েকটি কবিতা

সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

কবিতা৭ মে, ২০২৪
দুটি কবিতা
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস

দুটি কবিতা

একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

কবিতা৭ মে, ২০২৪
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
শ্রী সদ্যোজাত

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......

ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,

কবিতা৭ মে, ২০২৪