১ অক্টোবর, ২০২৪
ওয়াহিদার হোসেনের তিনটি কবিতা
ওয়াহিদার হোসেনের তিনটি কবিতা

 

ঋতুদির সোয়েটার

 

শরীরের ভেতর থেকেও সোঁদা গন্ধ ওঠে 

না মাটি না ভুঁইভোড় আলো

কেচোর পরবর্তী ঘুম

ন্যুনতম রোদ

 

ঋতু এসে ডালে 

কেমন নিঝুম 

ঠান্ডা হলো। 

গুরুদ্দুয়ার 

বলছে আয় আয় 

বোরোক্যালেন্ডুলা ঘষে দিই 

বাবা এলে 

কাজু বাদামের রঙে 

মা শাড়ি 

ধ্বনির আঁচল

 

বকবকম ছড়িয়ে 

গুলাববদন

অনেক গাড়ির রেড লাইট 

এরিয়া খুঁজে নেবে 

শরীরে স্বার্থের রঙ 

ভৌতিক অপলাপ 

শীত বান্ধবী এলো ঠকঠকিয়ে 

তার গোলাপি সোয়েটার 

 

মর্মঘাতী 

পুকুরে স্নান সেরে উঠছে

 

_____________________

 

 

সলমন রুশদির উপন্যাস

 

এখন পড়েছি প্রভু 

নীলাচলে হাত 

নৌকোর ফিরিঙ্গি তাল 

বদরের ঝড় 

স্টীম রোলারে 

কি তাপ 

কি নি:সঙ্গতা 

জায়নামাযে 

সরে আসছে দীর্ঘ তারাটি 

পাঁচ ওয়াক্ত ঢিলে হয়ে 

সেজদায় নরম 

 

জল নামের পরিচিত 

ব্যাণ্ড 

পার্থ বড়ুয়ার চুল উড়ছে 

 

একদিন বন্ধু ছিলাম 

একদিন আজনবী

 

 

ধার দিয়ে  

ফসলের গোড়ায় 

নিংড়ানো অসুস্থতা 

হাসপাতালের গন্ধ

গল্পের বইয়ের মতো ধূসর অক্ষর 

 

সোয়েটার খুলে রেখেছেন ঋতুদি 

লাইটার দেশলাই থেকে গরম নামছে 

তামাকের গুড়ো হয়ে আছে 

রাতের প্রায়ান্ধ্যকার

 

মধ্যরাতের শিশু 

স্বাধীনতার স্বাদ চেটে নিচ্ছে 

কুকুরের মতো 

প্রতিরোধ মিছিল এগোচ্ছে 

 

গোঁসাইপুর সরগরম হে সত্যজিৎ 

 

____________________________

 

 

 

বর্ধমান দুর্গাপুর

 

 

অস্ত্বিত্বের সবটুকু 

কিংবা অস্থির সবটুকু 

ঝাপ্সা ভাসিয়ে দিতে চাই

পবিত্র স্রোতে

 

জানালার কাঁচে অস্পষ্ট ভোরের 

টোঁকা 

তুলে রাখার আগে 

তোমার ঠিকানা 

ব্যক্তিগত 

এসএমএস হয়ে আসুক 

 

 

নিয়ে রাখতে চেয়ে 

সম্পর্কের উষ্ণতা

বর্ধমান দুর্গাপুর জাঁকিয়ে

শীত

ব্যক্তিগত 

ইনবক্সে এলো 

 

যেদিন সফর শেষ 

কাঁচা ঘুমে কেঁদে উঠেছি 

কৈশোরের শীত কি 

এমনই বিষাদগ্রস্ত ছিলো? 

 

টুনি বালবের আলোয় ভবিষ্যৎ দেখতে গিয়ে দেখি 

আমার মুখে অন্যের মুখ 

আমার চোখে অন্যের চোখ 

শুধু নিজেকে খুঁজে পাইনি

 

 

চল্লিশ ছুই ছুই 

তবুও ব্যার্থ এই আত্মানুসন্ধান 

আমি তো এমন হতে চাইনি ঋতুদি!

সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
ওয়াহিদার হোসেন

কয়েকটি কবিতা

সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

কবিতা৭ মে, ২০২৪
দুটি কবিতা
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস

দুটি কবিতা

একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

কবিতা৭ মে, ২০২৪
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
শ্রী সদ্যোজাত

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......

ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,

কবিতা৭ মে, ২০২৪