ঋতুদির সোয়েটার
শরীরের ভেতর থেকেও সোঁদা গন্ধ ওঠে
না মাটি না ভুঁইভোড় আলো
কেচোর পরবর্তী ঘুম
ন্যুনতম রোদ
ঋতু এসে ডালে
কেমন নিঝুম
ঠান্ডা হলো।
গুরুদ্দুয়ার
বলছে আয় আয়
বোরোক্যালেন্ডুলা ঘষে দিই
বাবা এলে
কাজু বাদামের রঙে
মা শাড়ি
ধ্বনির আঁচল
বকবকম ছড়িয়ে
গুলাববদন
অনেক গাড়ির রেড লাইট
এরিয়া খুঁজে নেবে
শরীরে স্বার্থের রঙ
ভৌতিক অপলাপ
শীত বান্ধবী এলো ঠকঠকিয়ে
তার গোলাপি সোয়েটার
মর্মঘাতী
পুকুরে স্নান সেরে উঠছে
_____________________
সলমন রুশদির উপন্যাস
এখন পড়েছি প্রভু
নীলাচলে হাত
নৌকোর ফিরিঙ্গি তাল
বদরের ঝড়
স্টীম রোলারে
কি তাপ
কি নি:সঙ্গতা
জায়নামাযে
সরে আসছে দীর্ঘ তারাটি
পাঁচ ওয়াক্ত ঢিলে হয়ে
সেজদায় নরম
জল নামের পরিচিত
ব্যাণ্ড
পার্থ বড়ুয়ার চুল উড়ছে
একদিন বন্ধু ছিলাম
একদিন আজনবী
ধার দিয়ে
ফসলের গোড়ায়
নিংড়ানো অসুস্থতা
হাসপাতালের গন্ধ
গল্পের বইয়ের মতো ধূসর অক্ষর
সোয়েটার খুলে রেখেছেন ঋতুদি
লাইটার দেশলাই থেকে গরম নামছে
তামাকের গুড়ো হয়ে আছে
রাতের প্রায়ান্ধ্যকার
মধ্যরাতের শিশু
স্বাধীনতার স্বাদ চেটে নিচ্ছে
কুকুরের মতো
প্রতিরোধ মিছিল এগোচ্ছে
গোঁসাইপুর সরগরম হে সত্যজিৎ
____________________________
বর্ধমান দুর্গাপুর
অস্ত্বিত্বের সবটুকু
কিংবা অস্থির সবটুকু
ঝাপ্সা ভাসিয়ে দিতে চাই
পবিত্র স্রোতে
জানালার কাঁচে অস্পষ্ট ভোরের
টোঁকা
তুলে রাখার আগে
তোমার ঠিকানা
ব্যক্তিগত
এসএমএস হয়ে আসুক
নিয়ে রাখতে চেয়ে
সম্পর্কের উষ্ণতা
বর্ধমান দুর্গাপুর জাঁকিয়ে
শীত
ব্যক্তিগত
ইনবক্সে এলো
যেদিন সফর শেষ
কাঁচা ঘুমে কেঁদে উঠেছি
কৈশোরের শীত কি
এমনই বিষাদগ্রস্ত ছিলো?
টুনি বালবের আলোয় ভবিষ্যৎ দেখতে গিয়ে দেখি
আমার মুখে অন্যের মুখ
আমার চোখে অন্যের চোখ
শুধু নিজেকে খুঁজে পাইনি
চল্লিশ ছুই ছুই
তবুও ব্যার্থ এই আত্মানুসন্ধান
আমি তো এমন হতে চাইনি ঋতুদি!
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,