আলখাল্লার মাইল
খতম তালিকার বাইরে যে দরবেশ
গুচ্ছ বাতাস আমায় অক্ষর দেবে
দেবে সোহাগচিহ্নের ছটফটে ঘর
নাদানে ঝকঝকে টিউকল বসেছে
সে পোশাক চেনায়
সে সামন্ততান্ত্রিক
নাছোড় প্রয়োজন হয় উত্তরাধিকার
মাংস আকুল হলে
ফুলফোটা আমার পাঠ্য নয়
সূচীর বাইরে সাজিয়ে রেখেছি ভেজাজিভ
আলখাল্লার মাইল
নগরপত্তন
ঘামবোনা গ্রামে
আমি এক সরল পুস্তিকা
নষ্ট শীতের গায়ের আঁকিবুকি
দাগ থেকে দাগে
চিরুণী সরিয়ে দিতে অভিযোগ
তল্লাশী ভাঙছে জলশোকের
এমন অসুখ
এমন তরবারির কথা কে কবে শুনেছে?
শিশুশিবির
মান সুন্দর হয়, নীচু হয়ে পড়তে থাকে। ঘিয়েভাজা এই শিশুশিবির। ফুলদানী বিক্রীর সময় এখন নয়। চিঠি থেকে একাই বেরিয়ে আসছে খাম। ছুটির খুঁটিনাটি। আলো ডিঙানোর অবশেষ। ইশারা নিয়ে যোগফল চলে যাচ্ছে। মন্ত্রের হিসাবে বন্ধ হওয়া অসুখে। উল্টো টাঙানো শব্দেরা মাঝেমাঝে মায়ের মুখের মতো চেনা। অবাক থেমে গেলে বৃষ্টি কোথায় মিশে যায়, আর তোমাদের গ্রহণে আমি বর্জনের মতো মিশে থাকি, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ি, ছানবিনে কোনও সংখ্যা রাখি না।
স্বগত কথন
স্বভাব জানালা ধরে আস্তে আস্তে তৈরী করছি চাপ। জলের মতো স্বাদু নিমন্ত্রণ। খাটো পাড়ায় দেহাত পৌঁছয় রোজ। মার্জিন রঙে আমার তাস ফেলা ও আবিষ্কার। পা টপকে এই পর্যন্ত সিঁড়ি। বাজতে থাকা অনর্গল গুলাল। হাওয়ায় টাঙানো পিঁপড়েরা হেঁটে যাচ্ছে। সম্ভব এই খেলা। বিশ্বাস করো, গাছেদের হাততালি নেই। এক বরফ টাঙানো লোহায় শুকনো দড়ির মতো ঝুলে আছি। আঙুলে মানুষ জমছে খরার।।।
লালবৃত্তের গ্রামাফোন
এক লালবৃত্তের দিকে আমার গ্রামাফোন
পদ্য ভাবলে ঠুকরে দেওয়া যেত
পাখি পরিচিতি
এখনও রপ্ত নয়
কাঠের শিরদাঁড়ায় মহিষেরা এসেছে
অবাক বাথানে
আলো নামছে টুপটাপ
আর খোরপোষ
আমি চাঁদ বাঁচাতে পারিনি
সাদাকালো তারিফের শীত আর বনেদীয়ানা
লতায় পাতায় বেড়ে ওঠা চমৎকার
বাজেয়াপ্ত ঈশ্বর
ঘুড়ির ছদ্মবেশ পাথর বেয়ে উঠছে
নির্ণিমেষ মনে হলে
ছলকে ওঠা আয়তন
নেশায় মন লেগে থাকে
তুলোপাড়ায়
খোসা ছাড়ানো অদ্ভুত পুতুলেরা
সারারাত জালের কথা বলে
মানপত্র
এই খেলায় আমি শিকার
শিকারীও
আলো নিভিয়ে দেখেছি
আলো জ্বালিয়ে দেখেছি
প্রার্থনায় কোনও গান নেই
টানটান উপত্যকা আছে
মোম গলিয়ে ছায়ার উঁচুনীচু
রাষ্ট্রের গণগণে
ছুরির দাগ ধরে হাঁটছি
ছুরির দাগ ধরে চলে যাবো
বরফ মুছবো না অনেকদিন
চোখের বন্ধ থেকে দেশ খসে যাবে
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,