বৃষ্টিকন্যাকে খোলা চিঠি ১৬
তুমি সুদীর্ঘ মৌনতা নিয়ে
বিরান প্রান্তে একাকী ময়ূরী
ঘোর বরষায়
ভেঙে ভেঙে যায় ভরা বিকেল
খসে খসে পড়ে ফলবতী চাঁদ আর
সূর্য দহনে আমার জ্বালা পোড়া হয়
তুমি সুদীর্ঘ মৌনতা নিয়ে
হলুদ অথবা নির্বাক আকন্দ পাতার আড়ালে
পাথুরে স্তব্ধতায় আয়নায় দেখোনি মুখ
অনন্ত চেয়ে আছো/ অসীমন্ধকারে ম্যাড়মেড়ে নক্ষত্রের খোঁজে
যদিও অন্ধকার খসে খসে পড়ে ---তোমার স্বপ্নীল মুখ-ভূমে আর
সূর্য-দহনে আমার জ্বালা পোড়া হয়
দহনের প্রতাপ তোমাকে ছোঁবে না
আলোকবর্ষ দূরে
বিমর্ষ অন্ধকারে
তুমি খুঁজে ফেরো ম্যাড়মেড়ে নক্ষত্র
হায় ! সুদীর্ঘ মৌনতা
হায় ! ভ্রষ্ট পথে স্তব্ধ ঘুঙুর
আশ্চর্য তরঙ্গিনী
বিস্তৃর্ণ বেদনা লুকিয়ে কতদূর যাও তরঙ্গিনী?
তুমি তো জানো না বেদনার অভিঘাত দিকচক্রহীন তরঙ্গায়িত
তুমি কি তটের দুঃখ পড়েছ তরঙ্গিনী---ফোঁটা ফোঁটা সহস্র জমাট বেদনা রঙিন ?
টেথিস জানে তরঙ্গ থেমে যায়
কী আশ্চর্য তরঙ্গিনী জানো না!
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,