১)
ধন্যযোগ আপনাকে, আমাদের এভাবে
সাহসী করে তোলার জন্য
নইলে তো ভেবে নিয়েছিল সকলে
ফসিল আমরা, সবেতেই বড় বেশি প্রসন্ন
সিংহাসনে বসলে রাজা একবার
পুজো দিই, পাদ্যঅর্ঘ, যেন ভগবান
স্বর্গ থেকে নির্বাচিত, নেমেছেন দয়া করে
উদ্ধারকল্পে জাতি, মুখ যার ম্লান
নইলে দেখুন পৃথিবীর আর সব কোণে কোণে তাকিয়ে
কেউ কি রাজাকে পরায় আর দেবতার মুখ?
কেউ কি আমাদের মতো ফুল দিয়ে, বেলপাতা, জল, নৈবেদ্য
আদরে রাখে রাজাকে, লুকিয়ে রাখে দুখ ?
আপনাকে ধন্যযোগ আরো একবার মনে করানোর
আমাদের ইতিহাসও কিছু কম নয় আন্দোলনের
আপাত শান্ত, গুমরোতে থাকা ঝড় তুলে
আমরাও ভাগ করি ব্যথা, রাগ, জমে থাকা যত পচনের
শুনেছি পাপের ঘড়া ভরলেই নাকি ভেঙে পড়ে?
সিংহাসন টলে... রাজাও পপাত ধরনীতল?
আমরা যারা চুপচাপ থাকি, আসলে থাকি শুধু অপেক্ষায়
কতটুকু বেড়ে উঠল সময়ের জল
আর তেমন কিছু না, সামান্যই আছে বাকি
চুপিচুপি ধন্যযোগ তবু আপনাকে
বুঝিয়ে দিলেন দুর্বৃত্তকে রাজা ভাবার ফাঁকি
২)
যদি ভুল করে ভুলে যেতে চাই
যদি গা বাঁচিয়ে নিজেকে বাঁচাই
তুমি টেনে নিও আলোতে আবার
যদি তোমাকেই গিলে খেতে চাই
যদি বরফেই নিজেকে সাজাই
তুমি ঠেলে দিও আগুনে আবার
আমি ভুলোমন রাস্তায় হাঁটি
আমি আধমরা জমানায় খাটি
তুমি দিয়ে যেও ঠিকানা তোমার
যদি মিথ্যেকে খেয়ে ফেলি গুলে
যদি সাপ হয়ে দংশাই ভুলে
তবু হাত দুটো বাড়িও তোমার
বলো তুমি ছাড়া আমিই বা কে
বলো আমি ছাড়া তোমাকেও যে
লোকে চিনে নেবে এমন তো নয়
তবু ভুলে ভরা এই পৃথিবীর
যত বেহিসাবি ভুল সব ঠিক
যেন এভাবেই বারেবারে হয়
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,