যুবকের সাথে কথোপকথন- ১৫
একা যে হাঁটছ যুবক
এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে
শুনি
বসো হেলান দিয়ে
এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের
পাশে বসে
শুনি তোমার কথা সব
চলচ্চিত্রের মতো, তখন আমাদের দেখানো হোক একটি মানুষের নিবিড়
মনোলগ যেন
আমি ধরে নেব আমিই বলছি এসব
তুমি ধরে নিও আমি কাউকে কোনোদিন বলে দেব না...
____________________________________
যুবকের সাথে কথোপকথন - ১৬
হাওয়ার মধ্যে পোশাক রেখে ক্লাস করতে গেছি
এসে দেখি জল নেই, টেবিলে অল্প আলো
গোল হয়ে ঢুকেছে
তারই মধ্যে সংগোপনে আমের গন্ধ
বাচ্চাবেলায় পায়ের নখে নেলপলিশ পরা পুরুষের দিকে চেয়ে
নিজের মধ্যে যেভাবে কৌতুক হত
তারই অবশিষ্ট আছে বুঝি, যেমন একদিন, পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত
বলেছিলেন,
এত ভালবাসার কবিতা লিখলাম,
বলেছিলেন, কত যে চিঠি লিখলাম...
তারপর হাতে ধরা কাগজের টুকরোটা
অকারণ
ভাঁজ করতে করতে বলেছিলেন,
অথচ মানুষগুলির মুখ পর্যন্ত ঠিক করে দেখিনি জ্যোতির্ময়।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,