৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
নতুনভাবে শিখে নাও
যাদেরকে তালুতে তুলে রেখেছি
তাদের দেখলে তুমি শিউরে উঠবে,
শুধু তাদের কথা বলব কেন এই সাক্ষাৎকারে,
তুমিও বলো ভালো-মন্দ
বা যা যা অন্যায় হয়েছে তোমার সাথে,
বাড়িতে সবাই কেমন আছে,
পুরনো গাছগুলোর কথা বল,
তোমাদের কত ধানজমি ছিল
বিক্রি করেছ নাকি,
তোমাদের প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহ,
ক্কচিৎ যদি আবার কোনদিন
মায়া লঙঘন করতে পারো
দেখো বালিশের পাশে আমি খুলে রেখেছি
আমার জামা-বর্ম,
তুমি কি এখনো গানপাগল
নাকি কাঠকয়লায় জীবন পোড়াও
পোড়াও স্বর্গীয় শিখায় অতৃপ্তি-
রূপক ডোমের মতো,
মেহফিল ভাঙা উগ্র চিত্ত,
হরিজনদের নিস্তব্ধ পাড়া,
এখনো কি শরীর নিয়ে লোফালুফি খেলো
জড়বধির সন্তানের পাশে শুয়ে,
সব বলে দাও অবলীলায়
দিয়ে দাও তোমার ঝি-বৃত্তির সাতশো টাকা
পঙ্গু স্বামীর সংসারে,
তারপর বলবো তোমায়
শরৎ হেমন্ত কী জিনিস,
তুমি বলবে আমাকে পৃথিবীর কোনও
গর্ভ আর সুরক্ষিত নয়,
ন্যাড়া ছাদে দাঁড়িয়ে বলে যাও
ছেলে মেয়েদের কী নাম রাখলে,
বলে যাও মজুমদারদের বাড়ি
রোজ কেন ঝগড়া হয়,
আর আমি বলব চলন্ত ট্যাক্সিতে হাওয়া
খেতে খেতে চুমু খেতে কেমন লাগে,
আমি বলবো তোমাকে যৌনতার মাঝে
যে বিরতি সেখানে কী গান শুনতে হয়,
তোমার চাল চুঁইয়ে যে জল পড়ে তা
কি তুমি মহাবীরকে বলেছ
গৌতম বুদ্ধকে বলেছ
আর যত সব তীর্থঙ্কর তাদের বলেছ,
লিখে নাও এদের ফোন নাম্বার,
টুকে নাও কঙ্কালবরণ মানুষের ইতিহাস।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
ওয়াহিদার হোসেন
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
কবিতা৭ মে, ২০২৪
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
কবিতা৭ মে, ২০২৪
শ্রী সদ্যোজাত
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,
কবিতা৭ মে, ২০২৪