১.
নিঃসঙ্গ
অচেনা পাখির শিস তাড়া করে বৈচিত্র্যে।
বেড়ে উঠি তত্সম বোধে, মেঘের আদরে, মাতৃভাষায়!
তারপর ঘাস
ডুমুর ছড়ানো ঘাস
ভিটার মাচানে ঘাস
সমুদ্র সম্ভ্রমে কারো
হৃদয় অংকন করে!
দূর হতে অবিনাশ পার্ক, কেকফুলটার মত জড়াজড়ি মেঘে নিবিড়তা চায়, গানে ও বিধানে যেন আলোছায়া খেলে বিপুল নগরী ঢাকা!
কবিকে ডুবে যেতে দিই ধুলার শহরে, আদ্রতা হয়ে নিঃসঙ্গ! কবিকে নেমে যেতে দিই মিছিল উঁচিয়ে ধরে, নাগরিক অনন্যতায়!
২.
ঠাঁই নাই, দায় নাই
বসন্তের কিছুকাল পর বসন্ত নতুন হয়!
আমরা একসাথে হাঁটি, মনে হয় এইখানে বিল ; চারধারে ঘন হলে গান সুপেয় আঁধার নামে!
একদিন 'ঠাঁই নাই, দায় নাই'-মত
আমাদের স্মৃতির ওপর ঝরবে কুয়াশা-জ্বর;
আল ভেঙে রোদের অক্ষর ছুটে যাবে গানের লিরিক হয়ে!
কুসুমে চাঁদনীপসর দেখে
বাংলায় বিমর্ষ হবে
পলাতক রাণী একদিন!
সামনে আসন্ন শীত, সামনে বসন্ত পড়ে আছে একা। আমাদের ভুল বোঝাবুঝি লাল, আমাদের গলাভাঙা ডাক লাল, অনলাইন চিঠির আলোয় থামে!
৩.
জবরদখল
তোমার ঘুমেরা ধাক্কা খাচ্ছে নাকি মিসাইল কিংবা ঝড়ে?
যেন সবুজ খামের চিঠি এই ভূপৃষ্ঠ নিজেই, অথচ নিজেকেই চিনতে পারছে না আজ ঝাঁঝরা বুকের দৃশ্যে। আর তুমি কিনা আক্রান্ত ইগোর ট্রমায়, ফেসবুক ট্রলে?
একটা বুকের খোপে কতগুলা লাশ জমা হলে, স্মৃতির চক্ষু ফেটে রক্ত বেরোয় জানো?
অথবা শিমুল ফুল, সামান্য বৃষ্টির পর
একে একে ভেসে যাচ্ছে উদ্বাস্তুর মত
যেন-বা ফিলিস্তিন, যেন-বা রাফার ক্রসিং;
কখনোই পাবে না এরাও কারো খোঁপার ঠিকানা খুঁজে!
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,