৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
দুটি কবিতা
মৃত সহোদরা স্মরণে
আমার চোখে দেখো,
গভীর চোখে-
করুণ বনাঞ্চলে এক ফুল ফুটে আছে।
উন্মুখ তবু চুপ,নৈঃশব্দে বনানীর বাড়ন
তাই,ফুল ফুটার সুখেও সুর গান বারণ।
অতি সাবধানী বিষক্রিয়ার মতো
লতিকায় শিকড় যতো-
বেয়ে নেমে যাচ্ছে মুখমণ্ডলে,
চোয়ালেই শত মূলের আগ্রাসন।
খেয়ালে খুব গাঢ় মাটিভেজা গন্ধ-
আমি সবচেয়ে প্রাকৃতিক প্রাণী যে,
উদ্ভিদ আমার বোন লাগে।
লাল শিরাগুলো সব মহান শোক-
আর যতো সহোদরা মরে গ্যাছে স্মরণে।
চুপচাপ জীবন ধার নিয়ে যায় প্রায়ই গেছো পাখিরা
উদ্ভিদের ঘ্রাণ আকাশে ভাসে তখন ডানা পেয়ে।
প্রবাহিত প্রাণের নকশা আঁকা এক ফুল ফুটেছে চোখে,
গভীরতম গভীরতা তাই নখদর্পণে।
মৃত্যু-পুলক
শরীরের সবচেয়ে আবেদনময় কেন্দ্র হলো
মরে যেতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষাগুলো,
আর এই হন্তারক শরীরেই আজন্ম বসবাস।
আত্মঘাতী দুহাতের চেয়ে আর পবিত্রতর কী?
(উপকারী,সহায়ক একজোড়া হাত)
মানব কত সংঘাতময় যে কান্নাকে সমর্থন করে
অথচ,প্রেমহীন মৃত্যুকে শিকার করে ফেলে!
আমাদের আনন্দ,আমাদের মৃত্যু;
প্রবল উচ্ছ্বাসের যতো মৃত্যু-
মিইয়ে যাওয়া কামনার দাগ'র মতো মৃত্যু
আর কিছু চাওয়ার
থাকতো না স্রেফ কয়েক সহস্রবার যদি শরীর
ছুঁয়ে যেত মৃত্যু;এই প্রাণ মূলত এতো পুলকের
আধিক্যে বিধ্বস্ত।
এতো বেপথুমান, নির্মূল হতে পারে যে কখনোও
এতো অসহ্য রোমাঞ্চ তবু মিলিয়ে যাবে স্বেদকণার মতো।
অজ্ঞাত পরিণামের চেয়ে তাই মৃত্যু কতো ভালো!
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
ওয়াহিদার হোসেন
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
কবিতা৭ মে, ২০২৪
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
কবিতা৭ মে, ২০২৪
শ্রী সদ্যোজাত
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,
কবিতা৭ মে, ২০২৪