পুজো সংখ্যা, ১৪৩২
"আজ রণ-রঙ্গিণী জগৎমাতার দেখ্ মহারণ, দশদিকে তাঁর দশ হাতে বাজে দশ প্রহরণ!"

শিপু'র ঘর-সংসার
বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, ঘরে বসেই ভিজে যাচ্ছে শিপু।বাইরে ঝমঝমিয়ে জোছনা। শিপু জোছনা পেতে স্বপ্ন দেখে দোতালার বারান্দায় দুলছে দোলনা।

নষ্ট চরিত্র
অকৃতদার সেজো কাকা যখন পথ থেকে এক অচেনা পনের-ষোল বছরের মেয়েকে ঘরে এনে তুললেন তখন বাড়ির সবাই অবাক হয়ে গেলেন!

দেওয়াল
দ্রুততম বর্বরতার জীবন - জনশূন্য! অসম্ভব ব্যস্ততা; অজগরের মত লম্বা সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল - জনহীন,

পিয়াল রায়ের দুটি কবিতা
যখন স্নান সেরে আসি মনে হয় ভোরের আলোর মতো জড়িয়ে ধরি তাকে কপালে চুমো দিই, নাক ঘষে দিই নাকে শরীরে হাত রেখে বলি, 'আজ থেকে তুমিই দেবতা আমার সমস্ত আলো জ্বেলে নিকটস্থ হলে'

দুর্জয় দাসের দুটি কবিতা
অর্জন বলতে এটুকুই।মেহফিল ছাপিয়ে উঠছে রাত।রাতকানা সন্ধ্যার ভুলাইয়া।

তানহিম আহমেদের দুটি কবিতা
উড়ছে তালপাতার সেপাই এলবামের নিলয় ছিঁড়ে ছবিতাও ছুটিতে গেছে

শৌভিক দত্তের দুটি কবিতা
সদ্ব্যবহার করা দোলনার চারদিকে ঘেরা হাত দুলছি, নামতে পারছি না নামলেই পাথর লিখে ফেলবো,

নীলাব্জ চক্রবর্তীর দুটি কবিতা
নির্মীয়মাণ একটা ভাঙচুর অর্থাৎ ক্রস করছে দূর বন্দরের কাছে সেই সিজরিং স্টেয়ারকেসজোড়া মনে পড়বে

ডিসেম্বর
ঘুড়ি বাজিয়ে এলো দোলনায় অভিমান ওড়ে

বোবা অভিমান
পরিত্যক্ত প্ল্যাটফর্ম, কান্নাগুলো ঝুলে আছে খাদের কিনারে ।

শতানীক রায়ের দুটি কবিতা
এখন কোনো ভীষণ আনন্দ নেই অথচ আনন্দ আছে। কীভাবে হারমোনিয়াম নিয়ে বার বার ভাবছি।

সম্পাদকীয়
সময় বয়ে চলেছে, আমরাও চলেছি । তবে সভ্যতার দিকে নয় সভ্যতা থেকে দূরে, আমাদের অন্তিম কালের মৃত্যু শয্যায়! যে চলা প্রকৃতি থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে নেয়, ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গে হারিয়ে যায় যোগসূত্র তাকে আর যাইহোক সভ্যতা বলা যায় না।

মহাজাগতিক মৃত্যু
অভ্যাসের হাত প্রথম প্রথম খোঁজ খবর নিয়ে যায় ভালো মন্দের সৌজন্য আলাপ পরিচিত গল্পের স্বাদ

আগমণ
একটা বিকেল, অনেক না বলা কথার পাহাড় -- বারংবার। ঝকমকে রোদ্দুর,

সঙ্গীতা মাইতির দুটি কবিতা
তোমার কানে দিলাম নপূরের নিক্কণ, কণ্ঠে কবিগানের ধুয়া তারপর হারিয়ে গেলাম মেঠো পথের ঘ্রাণে

কাশফুল
কাশবনেতে কাশ ফুটেছে - তুমি সত্যিই মনোরম! কে যে তোমার পিতামাতা? তারাই বা কেমন?

পিয়াস রশিদের দুটি কবিতা
আগুন ও ঝোড়ো হাওয়ার পটভূমিতে বাদা-মাটির বুকে কান পাতা জরুরি এ মাটির প্রতি ইঞ্চিতে ছোপ ছোপ রক্তের দলা এখানে জীবন আগুনের মতো জ্বলে

সাকিল মাসুদের তিনটি কবিতা
আমি যতক্ষণ ততটুকুই সময়ের দৈর্ঘ্য। সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা— সবই কেবল বিভ্রম।

শিপু'র ঘর-সংসার
বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, ঘরে বসেই ভিজে যাচ্ছে শিপু।বাইরে ঝমঝমিয়ে জোছনা। শিপু জোছনা পেতে স্বপ্ন দেখে দোতালার বারান্দায় দুলছে দোলনা।

সমরজিৎ সিংহের হাইকু কবিতা
না-বলা কথা নিরভিমানে আজ গেছে হারিয়ে ।

শিবুর মেয়ে
পূর্ব আকাশে রক্তিম রবি উঁকি দিচ্ছে টুকরো মেঘের আড়াল থেকে। সেই নরম প্রভায় নদীর ধারে দোদুল্যমান রূপলি কাশফুল গুলো যেন সোনালী আভায় সেজে উঠেছে। বাড়ির পাশের নদীর স্রোতধারা অচেনা কোন সুরে গান গাইছে, যেন দেবিপক্ষের সকালে আগমনীর স্বাগত বার্তা।

নষ্ট চরিত্র
অকৃতদার সেজো কাকা যখন পথ থেকে এক অচেনা পনের-ষোল বছরের মেয়েকে ঘরে এনে তুললেন তখন বাড়ির সবাই অবাক হয়ে গেলেন!

দেওয়াল
দ্রুততম বর্বরতার জীবন - জনশূন্য! অসম্ভব ব্যস্ততা; অজগরের মত লম্বা সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল - জনহীন,

অন্ধকার আলোর বিপরীতে
বিষন্নতা এক ধরনের অসুখ । সাইরেনের সন্ধিহান সংকেত বেঁধে রেখেছে হারিয়ে যাওয়া দৃশ্যপট ।

দীপ মিত্রের কবিতা
এখনো তোমার ঠোঁটের ডগায়, জ্বলন্ত আধখানা সিগারেটের ওপর বসা-- হাউসফ্লাই জ্বলে যতটা কষ্ট পায়, অতটা না হলেও কিছুটা কষ্ট রয়ে গিয়েছে।

এমরান হাসানের দুটি কবিতা
আউশের ঘ্রাণ লেপ্টে আছে জলের শিথানে। পালাবদলের সুর বৃষ্টির রেশ দেখে যায় অলৌকিক বিভায় অথবা জৌলুস ঘিরেছে তাকে আহত বিম্বের মতোন শিলালিপিতে লিখে যাওয়া অনিশ্চিত অন্ধ ঘোর-ঘরানা যেমন।

এম এ ওয়াহিদের দুটি কবিতা
ক্ষমা করো গাছ পাতা মৃয়মান নদী ক্ষমার যোগ্য হবো ক্ষমা করো যদি বাঁশ পাতা ঝোপঝাড় বাংলার মাঠ ক্ষমা করো রাত জেগে পুথি শ্লোক পাঠ।

গাছ
চুপ করে বসে থাক আর শোন। গাছেরাও কথা বলে জানলাম কাল। সকালে হাই তোলার মত করে গাছেরাও শব্দ করে শুকনো,ভেজা পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফ্যালে সকালের প্রথম হাওয়ায়। তারপর একটু হাত পা নাড়িয়ে ব্যায়াম করে, সকালের রোদে। শুকনো ডালগুলোর মড়মড় আওয়াজ শুনলে বুঝবি।

দুধারে ঈশ্বর
একটি প্রাণবন্ত ফুঁয়ে একরাশ আঙুল এ কেমন বিমল ফুল নীল হাত নেড়ে বলে প্রজাপতি ছেলেবেলা তার ক্যাপশন

চিঠি
ফিরে আসা চাঁদের উসকানি ঢুকে যাচ্ছে মাথার ভেতর মেঘের হাত ধরে পাথর খুঁজতে যাব তোমার কিনারে।

সম্পাদকীয়
মড়ক লেগেছে নাকি খরা ! বাঙালি মনন বাঙালির ভাষা, বিস্মৃত তার ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব । সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে এই ধারণা ভীষণ রকম ভুল বলে প্রমাণিত হবে। বছরে বছরে যেভাবে গজিয়ে উঠছে অগণন লিটিল ম্যাগাজিন , সামাজিক মাধ্যমে অবিরত বয়ে যাচ্ছে সাহিত্যের বহতা ধারা ।

গণিত, অথচ
অ্যাম্বুলেন্সের ডালা খোলা আছে গাছের শরীরে অন্য গাছের ছায়া তবু ওভারল্যাপ এইসব দৃশ্যভাবনার পাশে ঠোঁট, বরফ, বরফ কঠিন ঠোঁট গল্প বদলে যাচ্ছে

সোয়েটার
গন গনে নীল শিখা মেলে গ্যাসের উনুন জ্বলছে। কেটলিতে জল সেই কখন থেকে ফুটে চলেছে। বাষ্প হয়ে অর্ধেক জল মরে গেছে। সেই দিকে কোনও খেয়াল নেই নীলার। সে একটা বেতের গদি মোড়া আরাম চেয়ারে বসে আছে। কিচেনটা ঢের বড়। প্রায় প্রমাণ সাইজ একটা ঘরের মতো। এখানে বসে উলের কাঁটায় শব্দ তুলে সোয়েটার বুনে যাওয়া তার একমাত্র বিলাসিতা। শীতের দিনে আগুনের এই উত্তাপটা কী যে আরামের, নীলা তা কাউকে বোঝাতে পারবে না। গ্যাসটা কতক্ষণ জ্বলছে সে দিকে তার কোনও খেয়াল নেই। চায়ের জল বসানোটা আসলে একটা ছুতো। শীতের রাতে আগুনের উষ্ণতাকে সে প্রাণ ভরে উপভোগ করে নিচ্ছে। গ্যাস পুড়ছে পুড়ুক। সেই নিয়ে সে মাথা ঘামায় না। তার স্বামী বিপুলের টাকার অভাব নেই। তারা বিশাল ধনী না হতে পারে কিন্তু এই সব সামান্য বে-হিসেবী খরচ করার মতো তাদের ঢের পয়সা আছে।