২৫শে বৈশাখ সংখ্যা, ১৪৩২

নব জন্মদিন। জন্মোৎসবে এই-যে আসন পাতা হেথা আমি যাত্রী শুধু, অপেক্ষা করিব, লব টিকা

উদয় সাহার দুটি কবিতা
উদয় সাহা

উদয় সাহার দুটি কবিতা

তাড়া নেই। ঘড়ির উল্টো দিকে পথ চৈত্রে সামান্য তেলে নিমপাতা ভাজা দুয়ারে গোধূলি। বুকে বড়ো ভয় ওঠে প্রসাধন মানে জানি বোরোলিনে সাজা

কবিতা৮ মে, ২০২৫
এরশাদ হোসেনের তিনটি কবিতা
এরশাদ হোসেন

এরশাদ হোসেনের তিনটি কবিতা

তিস্তা, আজ তোমায় লিখতে বসেছি পানির নিচে চাপা পড়া আমাদের ঘরের নামে। তুমি তো জানো— আমার বাবার সোনালী ধান কীভাবে তোমার হঠাৎ ক্ষুধায় তলিয়ে গিয়েছিল এক বর্ষায়।

কবিতা৮ মে, ২০২৫
এক গুচ্ছ ধান
ওয়াহিদার হোসেন

এক গুচ্ছ ধান

ঘাস ছিলো আমাদের যাতায়াতের পথে বিছানো অনেকগুলো দীর্ঘশ্বাস পাড়ি দিয়ে দেখি আমরা হেঁটে চলেছি সমান্তরাল রাস্তায় আমাদের আর কোনোদিন দেখা হবেনা

কবিতা৮ মে, ২০২৫
সাদা ঘোড়া
স্মৃতি রায়

সাদা ঘোড়া

এ মুহুর্তে শুক্রবারের শোভা ক্রমশ আয়ু ঘেঁসে , অমনোযোগী একটা সহজ কথা কী করে বুঝে যাও ? ফুসকুড়ি রঙের ডালিমে পা দিয়ে রাত্রির পরিসীমা গুণে!

কবিতা৮ মে, ২০২৫
বিভৎস যুগপৎ
রহিত ঘোষাল

বিভৎস যুগপৎ

শিয়ালের গর্তে হাত ঢুকিয়ে বাচ্চা বের করে আনো ওখানেই দূরবীন শাহ্ রোমা রঁল্যার সাথে বিশ্রাম নিচ্ছেন, স্টার থিয়েটারের থেকে বেরিয়ে আসছে উদ্দেশ্যহীন কিছু মুখ,

কবিতা৮ মে, ২০২৫
সৌভিক দত্তের দুটি কবিতা
শৌভিক দত্ত

সৌভিক দত্তের দুটি কবিতা

গান ভাঙছো নদীর অথচ নদীর কোনও কৌতূহল নেই গান ভাবছো নদীর অথচ নদী চুপ করে আছে এসব ছড়াতে ছড়াতে

কবিতা৮ মে, ২০২৫
শো
রাহেবুল

শো

অল্প দূরে, হয়তো বাড়ি থেকে দুই এক কিমি, বান্ধের পাড়। একটা শো শো আওয়াজ, কেমন একটা রহস্যময়ী, বিশেষ করে বেলা বয়ে যাওয়া বিকেলে, সাঁঝের মুখে। প্রায় প্রতিদিন শুনতে পেতাম।

গল্প৮ মে, ২০২৫
নীলাব্জ চক্রবর্তীর দুটি কবিতা
নীলাব্জ চক্রবর্তী

নীলাব্জ চক্রবর্তীর দুটি কবিতা

শরীরের ভেতর জমে যাচ্ছে কথা-অমনিবাস এই ক্রিয়া ক্রমে ঘ্রাণ হয়ে স্নায়ুতে বারবার রাবারছাপ ফ্রিজ হচ্ছে স্বাদু লংশট স্লো মোশানে আঙুল পড়ে নি

কবিতা৮ মে, ২০২৫
দহন
শ্রীমন্ত দাস

দহন

আমাকে ভালোবাসেন? হ্যাঁ।ভীষণ... কেনো? ইচ্ছে হয় তাই।

কবিতা৯ মে, ২০২৫
শূণ্য থেকে শুরু
পার্থ চিনা

শূণ্য থেকে শুরু

মিথ্যে বুজরুকি আর অতিনাটকীয় এজলাস জিএসটি তে নাক উঁচু তবু কবজকুণ্ডলে গর্ব। পাবলিক খাচ্ছে ভালো দু টাকায় পেটে লাথ বোঝা কি বড়ই দায় শ্রী না হতশ্রী ?

কবিতা৯ মে, ২০২৫
সম্পাদকীয়
সম্পাদক

সম্পাদকীয়

আবারও একটা কঠিন সময়ের সন্ধিক্ষণে ভারতবর্ষ। যে তীর্থভূমিতে স্নান করেছে গোটা বিশ্ব, যে তীর্থে বয়ে চলে গঙ্গা-যমুনার করুণা ধারা, যে তীর্থ পৃথিবীকে শিখিয়েছে মানুষের ধর্ম , সেই তীর্থেই একদিন ধর্মের নামেই বয়ে গেল রক্তের ধারা। যদিও এটা প্রথম নয় একদিন এই তীর্থভূমিকেই ধর্মের নামে খন্ডবিখন্ড করে দেওয়া হয়েছিল , চাষ করা হয়েছিল ধর্মের বিষবৃক্ষ। রবীঠাকুর , যিনি তাঁর স্বদেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে, আজ তাঁরই কথা মনে পড়ছে বারবার। রবীন্দ্রনাথের মধ্যে বাস করত একটা গোটা ভারত বর্ষ, আর আমরা সেই ভারতবর্ষের উত্তরসূরি।

গদ্য৮ মে, ২০২৫
অ-সময়ের কবিতা
গোবিন্দ চক্রবর্তী

অ-সময়ের কবিতা

প্রতিটি আন্দোলনের ভেতর গর্জে উঠছে লকলকে জিভ। ক্ষুধার্ত সময় মানুষ দেখছে । ক্ষুধার্ত সময় মাংসের ভেতর খুঁচিয়ে আঁকছে তির্যক নখের আদর।

কবিতা৮ মে, ২০২৫
স্মরণে
সমপ্রিয়া দে সরকার

স্মরণে

জোড়াসাঁকোর প্রাসাদ থেকে, নিকেতন যেথায় শান্তি। রাখি বন্ধন সূচনা করে, আলিঙ্গনে সৌভ্রাতৃত্ব।

কবিতা৮ মে, ২০২৫
রুবেল মণ্ডলের দুটি কবিতা
রুবেল মণ্ডল

রুবেল মণ্ডলের দুটি কবিতা

ছোট্ট মেয়ে আমার হাতদুটো চেয়েছিল, তারপর চোখ... সে চেয়েছিল— রক্তাক্ত অবস্থায় আমি যেন সেগুলো তুলে দিই তার হাতে।

কবিতা৮ মে, ২০২৫
উমাপদ করের কয়েকটি কবিতা
উমাপদ কর

উমাপদ করের কয়েকটি কবিতা

হলো না, হয় না, যেমনটা জল চায়, ধর্ম মানে, সংসারটাও করে একই থেকে যায় ভৌত বা রসায়নে জঙ্গম ছাড়া বাতাস পারে না।

কবিতা৮ মে, ২০২৫
পিয়াল রায়ের দুটি কবিতা
পিয়াল রায়

পিয়াল রায়ের দুটি কবিতা

তুমিও পালিয়ে বেড়াও আমিও পালিয়ে বেড়াই পালাতে পালাতে একদিন ঠেকে যাবে পিঠে দুজনের পিঠ

কবিতা৮ মে, ২০২৫
উদয় সাহার দুটি কবিতা
উদয় সাহা

উদয় সাহার দুটি কবিতা

তাড়া নেই। ঘড়ির উল্টো দিকে পথ চৈত্রে সামান্য তেলে নিমপাতা ভাজা দুয়ারে গোধূলি। বুকে বড়ো ভয় ওঠে প্রসাধন মানে জানি বোরোলিনে সাজা

কবিতা৮ মে, ২০২৫
এরশাদ হোসেনের তিনটি কবিতা
এরশাদ হোসেন

এরশাদ হোসেনের তিনটি কবিতা

তিস্তা, আজ তোমায় লিখতে বসেছি পানির নিচে চাপা পড়া আমাদের ঘরের নামে। তুমি তো জানো— আমার বাবার সোনালী ধান কীভাবে তোমার হঠাৎ ক্ষুধায় তলিয়ে গিয়েছিল এক বর্ষায়।

কবিতা৮ মে, ২০২৫
এক গুচ্ছ ধান
ওয়াহিদার হোসেন

এক গুচ্ছ ধান

ঘাস ছিলো আমাদের যাতায়াতের পথে বিছানো অনেকগুলো দীর্ঘশ্বাস পাড়ি দিয়ে দেখি আমরা হেঁটে চলেছি সমান্তরাল রাস্তায় আমাদের আর কোনোদিন দেখা হবেনা

কবিতা৮ মে, ২০২৫
সাদা ঘোড়া
স্মৃতি রায়

সাদা ঘোড়া

এ মুহুর্তে শুক্রবারের শোভা ক্রমশ আয়ু ঘেঁসে , অমনোযোগী একটা সহজ কথা কী করে বুঝে যাও ? ফুসকুড়ি রঙের ডালিমে পা দিয়ে রাত্রির পরিসীমা গুণে!

কবিতা৮ মে, ২০২৫
বিভৎস যুগপৎ
রহিত ঘোষাল

বিভৎস যুগপৎ

শিয়ালের গর্তে হাত ঢুকিয়ে বাচ্চা বের করে আনো ওখানেই দূরবীন শাহ্ রোমা রঁল্যার সাথে বিশ্রাম নিচ্ছেন, স্টার থিয়েটারের থেকে বেরিয়ে আসছে উদ্দেশ্যহীন কিছু মুখ,

কবিতা৮ মে, ২০২৫
সৌভিক দত্তের দুটি কবিতা
শৌভিক দত্ত

সৌভিক দত্তের দুটি কবিতা

গান ভাঙছো নদীর অথচ নদীর কোনও কৌতূহল নেই গান ভাবছো নদীর অথচ নদী চুপ করে আছে এসব ছড়াতে ছড়াতে

কবিতা৮ মে, ২০২৫
শো
রাহেবুল

শো

অল্প দূরে, হয়তো বাড়ি থেকে দুই এক কিমি, বান্ধের পাড়। একটা শো শো আওয়াজ, কেমন একটা রহস্যময়ী, বিশেষ করে বেলা বয়ে যাওয়া বিকেলে, সাঁঝের মুখে। প্রায় প্রতিদিন শুনতে পেতাম।

গল্প৮ মে, ২০২৫
নীলাব্জ চক্রবর্তীর দুটি কবিতা
নীলাব্জ চক্রবর্তী

নীলাব্জ চক্রবর্তীর দুটি কবিতা

শরীরের ভেতর জমে যাচ্ছে কথা-অমনিবাস এই ক্রিয়া ক্রমে ঘ্রাণ হয়ে স্নায়ুতে বারবার রাবারছাপ ফ্রিজ হচ্ছে স্বাদু লংশট স্লো মোশানে আঙুল পড়ে নি

কবিতা৮ মে, ২০২৫
দহন
শ্রীমন্ত দাস

দহন

আমাকে ভালোবাসেন? হ্যাঁ।ভীষণ... কেনো? ইচ্ছে হয় তাই।

কবিতা৯ মে, ২০২৫
মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ ও বৃদ্ধাশ্রম
বরুন চন্দ্র বর্মন

মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ ও বৃদ্ধাশ্রম

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই শিশুরাই। একজন বাবা মায়ের কাছে তার একমাত্র ভবিষ্যত বা স্বপ্ন হলো তার সন্তান। এই সন্তানরা যেন হাসি খুশিতে থাকে সেটাই সকল বাবা-মা তথা গুরুজনদের লক্ষ্য।

গদ্য৮ মে, ২০২৫
 গাছ
হিমাংশু রায়

গাছ

চুপ করে বসে থাক আর শোন। গাছেরাও কথা বলে জানলাম কাল।  সকালে হাই তোলার মত করে গাছেরাও শব্দ করে শুকনো,ভেজা পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফ্যালে সকালের প্রথম হাওয়ায়। তারপর একটু হাত পা নাড়িয়ে ব্যায়াম করে, সকালের রোদে। শুকনো ডালগুলোর মড়মড় আওয়াজ শুনলে বুঝবি।

গদ্য৭ মে, ২০২৪
দুধারে ঈশ্বর 
স্মৃতি রায়

দুধারে ঈশ্বর 

একটি প্রাণবন্ত ফুঁয়ে একরাশ আঙুল এ কেমন বিমল ফুল নীল হাত নেড়ে বলে প্রজাপতি ছেলেবেলা তার ক্যাপশন

কবিতা৭ মে, ২০২৪
 চিঠি
অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়

চিঠি

ফিরে আসা চাঁদের উসকানি ঢুকে যাচ্ছে মাথার ভেতর মেঘের হাত ধরে পাথর খুঁজতে যাব তোমার কিনারে।

কবিতা৭ মে, ২০২৪
সম্পাদকীয়
সম্পাদক

সম্পাদকীয়

মড়ক লেগেছে নাকি খরা ! বাঙালি মনন বাঙালির ভাষা,  বিস্মৃত তার ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব । সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে এই ধারণা ভীষণ রকম ভুল বলে প্রমাণিত হবে। বছরে বছরে যেভাবে গজিয়ে উঠছে অগণন লিটিল ম্যাগাজিন , সামাজিক মাধ্যমে অবিরত বয়ে যাচ্ছে সাহিত্যের বহতা ধারা ।

গদ্য৭ মে, ২০২৪
গণিত, অথচ
নীলাদ্রি দেব

গণিত, অথচ

অ্যাম্বুলেন্সের ডালা খোলা আছে গাছের শরীরে অন্য গাছের ছায়া তবু ওভারল্যাপ এইসব দৃশ্যভাবনার পাশে ঠোঁট, বরফ, বরফ কঠিন ঠোঁট গল্প বদলে যাচ্ছে

কবিতা৭ মে, ২০২৪
সোয়েটার
অবিন সেন

সোয়েটার

গন গনে নীল শিখা মেলে গ্যাসের উনুন জ্বলছে। কেটলিতে জল সেই কখন থেকে ফুটে চলেছে। বাষ্প হয়ে অর্ধেক জল মরে গেছে। সেই দিকে কোনও খেয়াল নেই নীলার। সে একটা বেতের গদি মোড়া আরাম চেয়ারে বসে আছে। কিচেনটা ঢের বড়। প্রায় প্রমাণ সাইজ একটা ঘরের মতো। এখানে বসে উলের কাঁটায় শব্দ তুলে সোয়েটার বুনে যাওয়া তার একমাত্র বিলাসিতা। শীতের দিনে আগুনের এই উত্তাপটা কী যে আরামের, নীলা তা কাউকে বোঝাতে পারবে না। গ্যাসটা কতক্ষণ জ্বলছে সে দিকে তার কোনও খেয়াল নেই। চায়ের জল বসানোটা আসলে একটা ছুতো। শীতের রাতে আগুনের উষ্ণতাকে সে প্রাণ ভরে উপভোগ করে নিচ্ছে। গ্যাস পুড়ছে পুড়ুক। সেই নিয়ে সে মাথা ঘামায় না। তার স্বামী বিপুলের টাকার অভাব নেই। তারা বিশাল ধনী না হতে পারে কিন্তু এই সব সামান্য বে-হিসেবী খরচ করার মতো তাদের ঢের পয়সা আছে।

গল্প৭ মে, ২০২৪