পুজো সংখ্যা

আর কতকাল থাকবি বেটী মাটির ঢেলার মূর্তি আড়াল? স্বর্গ যে আজ জয় করেছে অত্যাচারী শক্তি চাঁড়াল। দেব–শিশুদের মারছে চাবুক, বীর যুবকদের দিচ্ছে ফাঁসি, ভূ-ভারত আজ কসাইখানা, আসবি কখন সর্বনাশী? —কাজী নজরুল ইসলাম

সম্পাদকীয়
সম্পাদক

সম্পাদকীয়

বেশকিছু বছর আগে হাওয়ায় হাওয়ায় একটা কথা ভেসে বেড়াত , বাঙালি চরিত্রের মধ্যে সেই ব্যাপারটাই আর নেই, সেই এক্স ফ্যাক্টর।

গদ্য১ অক্টোবর, ২০২৪
ওয়াহিদার হোসেনের তিনটি কবিতা
ওয়াহিদার হোসেন

ওয়াহিদার হোসেনের তিনটি কবিতা

অস্ত্বিত্বের সবটুকু কিংবা অস্থির সবটুকু ঝাপ্সা ভাসিয়ে দিতে চাই পবিত্র স্রোতে

কবিতা১ অক্টোবর, ২০২৪
জ্যোতির্ময় বিশ্বাসের দুটি কবিতা
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস

জ্যোতির্ময় বিশ্বাসের দুটি কবিতা

একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব চলচ্চিত্রের মতো, তখন আমাদের দেখানো হোক একটি মানুষের নিবিড়

কবিতা১ অক্টোবর, ২০২৪
বাতাসের স্পর্শে
দীপ চন্দ

বাতাসের স্পর্শে

এসো ছুঁয়ে যাও জল হয়ে দাগ হয়ে আমার যা কিছু আমার

কবিতা১ অক্টোবর, ২০২৪
দুর্গাপূজার একক উদ্যোগ থেকে সার্বজনীনতা
বরুণ চন্দ্র বর্মন

দুর্গাপূজার একক উদ্যোগ থেকে সার্বজনীনতা

দুর্গাপূজা বাংলীর শ্রেষ্ঠ উৎসব। কথায় বলে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। কিন্তু বাংলায় উৎসবের চমক ১৬ আনা থেকে ১৮ আনায় পৌঁছে গেছে। দুর্গা পূজা তাদের মধ্যে অন্যতম। দুর্গা পূজার কথা শুনলে বাঙালির মনে প্রাণে আনন্দের জোয়ার নেমে আসে।

গদ্য২ অক্টোবর, ২০২৪
বাংলা বর্ণমালার শুরুতেই 'অ'কেন?
নারায়ণ চন্দ্র দাস

বাংলা বর্ণমালার শুরুতেই 'অ'কেন?

[বাংলা বর্ণমালার ধ্বনি-[=ধ্+ব+ন+ই], অর্থাৎ, [ধ্বনি=সদর্থক-ধারণা-(ধ্‌)+বাহীর-(ব)+সক্রিয়ণ-(ই) +অনকৃত-(ন) যার ভিতরে]-ধ্বনি, অর্থাৎ, বর্ণ-[=বরিত-(ব)-আবর্ত্তিত-(রেফ)-রহস্যময়ভাবে -অনকৃত-(ণ)]-সমূহের, তথা বর্ণমালার প্রতিবর্ণের লিপ্যন্তরিত রূপের সঙ্গে পরিচিত হতে হলে নিম্নলিখিত দার্শনিক ভাবধারাসমূহের ন্যূনতম ধ্যানধারণা থাকলে ভাল হয়।]

গদ্য২ অক্টোবর, ২০২৪
 ডেথ সেন্টেন্স
রঙ্গন রায়

ডেথ সেন্টেন্স

তাকান। আপনাকেই বলছি। এদিক ওদিক তাকিয়ে লাভ নেই। এ ঘরে শুধু আপনিই আছেন। আমাকে দেখতে হবে না। পাবেন না। ওই ক্যালেন্ডারের ভেতর বসে আছেন রামকৃষ্ণ। মনে হচ্ছে এক্ষুণি উঠে এসে, আপনাকে কষিয়ে মারবে এক চড়, "শালা, পেপার পড়তে পড়তে যৌন চিন্তা!"

গদ্য৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
রঙ্গমঞ্চ
পার্থ চিনা

রঙ্গমঞ্চ

পাড়ায় রক্তকরবী নাটক হচ্ছে। বলল সবাই

কবিতা২ অক্টোবর, ২০২৪
নাফিসা মিদ্যার দুটি কবিতা
নাফিসা মিদ্যা

নাফিসা মিদ্যার দুটি কবিতা

সাবধানতায় অভাব ছিল না জোগাড় ছিল বাছাই করা নামি দামি সুগন্ধির তবুও অকাঙ্খিত গন্ধটাই ছড়িয়ে পড়ল জলজ্যান্ত কলের পুতুল গুলো হঠাৎ নড়ে গেল বাঁধা পথ ছেড়ে দলে দলে মিশে গেল ভীড়ে

কবিতা১ অক্টোবর, ২০২৪
রঞ্জন মৈত্রের দুটি কবিতা
রঞ্জন মৈত্র

রঞ্জন মৈত্রের দুটি কবিতা

প্রশ্ন উত্তর সব ঝ'রে গেলে ফাঁকা ফাঁকা স্কুল নো ম্যানস ল্যাণ্ডের গাছ শীত বসন্তের বিএসএফ কি যেন পাচার হবে নির্ধারিত আলোয় গুলি ছুটবে দ্রুত আর স্কুল হওলে হওলে ধরা পড়ার পথে পথে ছড়ানো লুজ শিট

কবিতা২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
কিশোর কাহিনি
রোমান জাহান

কিশোর কাহিনি

সেই বাড়ীটা কখনই ডিঙ্গানো হয়নি শুধু ফটকে দাড়িয়ে দেখেছি সুদৃশ্য স্বপ্নের দারুচিনি জানালার পর্দার সাথে উড়েছে ঈর্ষাকাতরতার ভেতর এক কিশোরের কাছে মায়াবী এক শহর

কবিতা২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ছবি আঁকার স্কুল
দেবাশিস সাহা

ছবি আঁকার স্কুল

পাড়ার প্রাইমারি স্কুলে ছুটির দিনে ছবি আঁকা শেখায় নবকাকা সবাই ছেলে মেয়েকে আঁকা,কম্পিউটার, গান,নাচ,তবলা,ক্যারাটে পন্ডিত করতে চায় ছত্রাক রঙের সারি সারি হরেক রকমের পাঠশালা

কবিতা২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সম্পাদকীয়
সম্পাদক

সম্পাদকীয়

বেশকিছু বছর আগে হাওয়ায় হাওয়ায় একটা কথা ভেসে বেড়াত , বাঙালি চরিত্রের মধ্যে সেই ব্যাপারটাই আর নেই, সেই এক্স ফ্যাক্টর।

গদ্য১ অক্টোবর, ২০২৪
ওয়াহিদার হোসেনের তিনটি কবিতা
ওয়াহিদার হোসেন

ওয়াহিদার হোসেনের তিনটি কবিতা

অস্ত্বিত্বের সবটুকু কিংবা অস্থির সবটুকু ঝাপ্সা ভাসিয়ে দিতে চাই পবিত্র স্রোতে

কবিতা১ অক্টোবর, ২০২৪
জ্যোতির্ময় বিশ্বাসের দুটি কবিতা
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস

জ্যোতির্ময় বিশ্বাসের দুটি কবিতা

একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব চলচ্চিত্রের মতো, তখন আমাদের দেখানো হোক একটি মানুষের নিবিড়

কবিতা১ অক্টোবর, ২০২৪
বাতাসের স্পর্শে
দীপ চন্দ

বাতাসের স্পর্শে

এসো ছুঁয়ে যাও জল হয়ে দাগ হয়ে আমার যা কিছু আমার

কবিতা১ অক্টোবর, ২০২৪
দুর্গাপূজার একক উদ্যোগ থেকে সার্বজনীনতা
বরুণ চন্দ্র বর্মন

দুর্গাপূজার একক উদ্যোগ থেকে সার্বজনীনতা

দুর্গাপূজা বাংলীর শ্রেষ্ঠ উৎসব। কথায় বলে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। কিন্তু বাংলায় উৎসবের চমক ১৬ আনা থেকে ১৮ আনায় পৌঁছে গেছে। দুর্গা পূজা তাদের মধ্যে অন্যতম। দুর্গা পূজার কথা শুনলে বাঙালির মনে প্রাণে আনন্দের জোয়ার নেমে আসে।

গদ্য২ অক্টোবর, ২০২৪
বহত কঠিন হ্যায় ডগর পনঘটকি....খুব কঠিন রাস্তাটা, ঝিল হে তোমার
স্বপন রায়

বহত কঠিন হ্যায় ডগর পনঘটকি....খুব কঠিন রাস্তাটা, ঝিল হে তোমার

ও কিছুটা আগেই। এটাই হয়। ও আগে থাকে। সর্ষেফুলের হলুদ মাখে তার এই এগিয়ে থাকা। সে সংবাদপত্র পড়ে কিনা জানিনা। সংবাদ হয়, এই মাঠের অমনিবাস আর হলদেটে নিমন্ত্রণ পেরিয়ে তার যাওয়া। আমি অনুসরণ করি। কেন, জানিনা। কবে থেকে মনে নেই। চায়ের কাপ আর ঠোঁটের ভেতরে যে কখনো সখনো পিছলে পড়া সেরকমই পিছল কিছু হয় এই ফলো করার সময়। চা ঠোঁটে আসেনা। সেও আসেনা তার পিছনে, তার ফিরে তাকানো আছে, ফেরা নেই। আমের মুকুলে কিভাবে এসেছে হাওয়াদার কোরিওগ্রাফি, তাতে মুক্ত বাজারের ছাপ্পা, এসব পেরিয়ে আর যেতে পারিনা। কোয়েলটা জানে। ডাকে। কোয়েলিয়া কোথায়...

গল্প৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বাংলা বর্ণমালার শুরুতেই 'অ'কেন?
নারায়ণ চন্দ্র দাস

বাংলা বর্ণমালার শুরুতেই 'অ'কেন?

[বাংলা বর্ণমালার ধ্বনি-[=ধ্+ব+ন+ই], অর্থাৎ, [ধ্বনি=সদর্থক-ধারণা-(ধ্‌)+বাহীর-(ব)+সক্রিয়ণ-(ই) +অনকৃত-(ন) যার ভিতরে]-ধ্বনি, অর্থাৎ, বর্ণ-[=বরিত-(ব)-আবর্ত্তিত-(রেফ)-রহস্যময়ভাবে -অনকৃত-(ণ)]-সমূহের, তথা বর্ণমালার প্রতিবর্ণের লিপ্যন্তরিত রূপের সঙ্গে পরিচিত হতে হলে নিম্নলিখিত দার্শনিক ভাবধারাসমূহের ন্যূনতম ধ্যানধারণা থাকলে ভাল হয়।]

গদ্য২ অক্টোবর, ২০২৪
12 AM
রাহেবুল

12 AM

12 AM বলে একখানি ব্যান্ড ছিল। বাংলাদেশের। লিড সিংগারের নামটা মনে পড়ছে না এ মুহূর্তে, কী জানি পরে হয়তো যদি আসে ঘুম, ঘুমের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে মনে পড়ে যাবে সে। সে ব্যান্ডটা বোধয় টেকেনি, পরে লিড সিংগার আরেক ব্যান্ড বানিয়েছিল যার নামটাও মনে নেই। ইদানীং এমনিতেও ভুলে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়েছে, বুঝি। এত্ত পাসওয়ার্ড চারিদিকে ছড়ানো, মানিব্যাগের (ওয়ালেট বলেন কেউ; যে এখন ভার্চুয়াল কড়ির পরিচিত আবাস) কথা ভুলে যাও, এমনি পকেটেই যেটাকে ছোটবেলা থেকে জ্যাব্‌ বলে ডাকি, চিনি, তাতেও যখন খুচরো কয়েনগুলো দেশজোড়া উঠে যাওয়ার পর কোনো খুচরো নোট রাখি সেটাও মনে রাখতে পারি না।

গদ্য৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
 গাছ
হিমাংশু রায়

গাছ

চুপ করে বসে থাক আর শোন। গাছেরাও কথা বলে জানলাম কাল।  সকালে হাই তোলার মত করে গাছেরাও শব্দ করে শুকনো,ভেজা পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফ্যালে সকালের প্রথম হাওয়ায়। তারপর একটু হাত পা নাড়িয়ে ব্যায়াম করে, সকালের রোদে। শুকনো ডালগুলোর মড়মড় আওয়াজ শুনলে বুঝবি।

গদ্য৭ মে, ২০২৪
দুধারে ঈশ্বর 
স্মৃতি রায়

দুধারে ঈশ্বর 

একটি প্রাণবন্ত ফুঁয়ে একরাশ আঙুল এ কেমন বিমল ফুল নীল হাত নেড়ে বলে প্রজাপতি ছেলেবেলা তার ক্যাপশন

কবিতা৭ মে, ২০২৪
 চিঠি
অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়

চিঠি

ফিরে আসা চাঁদের উসকানি ঢুকে যাচ্ছে মাথার ভেতর মেঘের হাত ধরে পাথর খুঁজতে যাব তোমার কিনারে।

কবিতা৭ মে, ২০২৪
সম্পাদকীয়
সম্পাদক

সম্পাদকীয়

মড়ক লেগেছে নাকি খরা ! বাঙালি মনন বাঙালির ভাষা,  বিস্মৃত তার ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব । সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে এই ধারণা ভীষণ রকম ভুল বলে প্রমাণিত হবে। বছরে বছরে যেভাবে গজিয়ে উঠছে অগণন লিটিল ম্যাগাজিন , সামাজিক মাধ্যমে অবিরত বয়ে যাচ্ছে সাহিত্যের বহতা ধারা ।

গদ্য৭ মে, ২০২৪
গণিত, অথচ
নীলাদ্রি দেব

গণিত, অথচ

অ্যাম্বুলেন্সের ডালা খোলা আছে গাছের শরীরে অন্য গাছের ছায়া তবু ওভারল্যাপ এইসব দৃশ্যভাবনার পাশে ঠোঁট, বরফ, বরফ কঠিন ঠোঁট গল্প বদলে যাচ্ছে

কবিতা৭ মে, ২০২৪
সোয়েটার
অবিন সেন

সোয়েটার

গন গনে নীল শিখা মেলে গ্যাসের উনুন জ্বলছে। কেটলিতে জল সেই কখন থেকে ফুটে চলেছে। বাষ্প হয়ে অর্ধেক জল মরে গেছে। সেই দিকে কোনও খেয়াল নেই নীলার। সে একটা বেতের গদি মোড়া আরাম চেয়ারে বসে আছে। কিচেনটা ঢের বড়। প্রায় প্রমাণ সাইজ একটা ঘরের মতো। এখানে বসে উলের কাঁটায় শব্দ তুলে সোয়েটার বুনে যাওয়া তার একমাত্র বিলাসিতা। শীতের দিনে আগুনের এই উত্তাপটা কী যে আরামের, নীলা তা কাউকে বোঝাতে পারবে না। গ্যাসটা কতক্ষণ জ্বলছে সে দিকে তার কোনও খেয়াল নেই। চায়ের জল বসানোটা আসলে একটা ছুতো। শীতের রাতে আগুনের উষ্ণতাকে সে প্রাণ ভরে উপভোগ করে নিচ্ছে। গ্যাস পুড়ছে পুড়ুক। সেই নিয়ে সে মাথা ঘামায় না। তার স্বামী বিপুলের টাকার অভাব নেই। তারা বিশাল ধনী না হতে পারে কিন্তু এই সব সামান্য বে-হিসেবী খরচ করার মতো তাদের ঢের পয়সা আছে।

গল্প৭ মে, ২০২৪