১
ক
পৃথিবী
প্রয়োজনে পাতা ঝরানোর নাম বৃক্ষ
সে পাঁজরে আটকে রাখে পৃথিবী
পৃথিবী বললে সমুদ্র না
দেখি বৃক্ষ আর মাটির কাহিনী।
খ
একদিন জনপদ চলে যাবে বৃক্ষের দখলে
বাঘেরা ভেঙ্গে দেবে চিড়িয়াখানা
সার্কাসের তাবু।
আমি দেখবো ভীতমানুষ, পরাজিত অহম।
"আমি সৃষ্টি না, ধ্বংস করছি সৃষ্টির অহংকার"
২
অমরা
স্বপ্নেরা আত্মজা, গহীন ধ্যনের আরতে জাগৃতি-
"ওম"
তোমার কুসুম বোটায় দুলে ওঠে নাচের মহিমা
এক জন্মের তাণ্ডব -
এই কামনাময় বাহু, আগ্নিক আলিঙ্গনে,
ফুটছে নতুন চোখ-
অমরায়।
৩
জন্ম
জন্ম নিনাদ ছিল রসোময় কোষে
যেন কিছু আত্মহত্যা প্রবণ স্পারম
মৃত্যু প্রকোস্ট ভেবে ঢুকে গেল জরায়ুতে।
আর গর্ভপাতের রক্তে ধুয়ে যেতে পারেনি বলে
গর্ভধারিণীকে রক্তাত্ত করেছিল,
অনিচ্ছায়-
জন্মদাগ নিয়ে হাঁটছি ছায়া পরিসীম
দেখছি চোখের সঙ্গমেও চোখ জন্মে যায় শত।
৪
অধিবৃত্তের মন
যুদ্ধে মুখের শ্রী থাকে না
কুঁচকানো কপাল ঠিকরে বেরোয় জলান্ধর
আর দীর্ঘশ্বাস থেকে যুদ্ধ শিশু
আর্তনাদ তাহলে জন্ম দেয়!
আমি না দেখেছি যুদ্ধ না প্রেম
না আমি যুদ্ধ শিশু।
তথাপি জন্ম দিয়ে চলেছি
অধিবৃত্তের মন
প্রেম আর যুদ্ধে জন্মাচ্ছে
প্রজন্ম।
৫
আলোর মতো সরীসৃপ
যদি অনেক দিন অনাবাদী থাকে ভূমি
একদিন বৃষ্টির সাথে নেমে আসে বীজ
বৃক্ষে বৃক্ষে ঢেকে যায় বিল্ডিং
মানুষ নির্বোধের মতো দেখতে থাকে
বৃক্ষরা হয়ে গেছে রক্তবীজ অসুর
অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির মতো ওরা
ভেঙ্গে দিচ্ছে মাইটসিস নিয়ম।
শামুক অথবা কচ্ছপের মতো মাথা জঠরে ঢুকিয়ে
জম দুতের ডানায় উড়ে যাব শিশির সমান ভরে
পৃথিবীর আওয়াজ মুছে
কোন এক কৃষ্ণগহব্বরে ভেতর ঢুকে যাব
আলোর মতো এক সরীসৃপ।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,