২৫শে বৈশাখ সংখ্যা

কয়েকটি কবিতা
ওয়াহিদার হোসেন

কয়েকটি কবিতা

সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

কবিতা৭ মে, ২০২৪
আমার রবীন্দ্রনাথ
ভবেশ বসু

আমার রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথ হলেন জ্ঞান ও বোধ। তোমাদের আঁচলে কি ? কি বাঁধা আছে ? জ্ঞান ও বোধ বেঁধে রেখেছো কেন ? আঁচলে চাবি গোছা।তার সাথে রবীন্দ্রনাথ।সকল মায়ের আঁচলে বাঁধা।সন্তান ছুটতে ছুটতে চলে এল।চোখে ঘাম।মুখে ঘাম।পায়ে ধুলা।ছেলে মেয়ের পৃথক গামছা।গামছায় ছেলে মেয়ে পরিস্কার হল।  মা ওদের তো রবীন্দ্রনাথ দিলে না ? রবীন্দ্রনাথ গামছায় নেই।রবী আছেন আঁচলে।

গদ্য৭ মে, ২০২৪
রঞ্জিত কথা - শঙ্খ ঘোষ
সব্যসাচী হাজরা

রঞ্জিত কথা - শঙ্খ ঘোষ

রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি-র সেই কথা মনে পড়ে –‘আমাদের ভিতরের এই চিত্রপটের দিকে ভালো করিয়া তাকাইবার আমাদের অবসর থাকে না। ক্ষণে ক্ষণে ইহার এক-একটা অংশের দিকে আমরা দৃষ্টিপাত করি। কিন্তু ইহার অধিকাংশই অন্ধকারে অগোচরে পড়িয়া থাকে’। সেই অন্ধকারে এঁকে রাখা ছবিগুলো যা রঞ্জিত সিংহ’র ভেতরে একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে থেকে গিয়েছিলো, আমি সেগুলোকেই আলোয় আনতে চেয়েছি। ‘রঞ্জিতকথা’ তাই।

গদ্য৩০ আগস্ট, ২০২৪
দুটি কবিতা
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস

দুটি কবিতা

একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

কবিতা৭ মে, ২০২৪
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
শ্রী সদ্যোজাত

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......

ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,

কবিতা৭ মে, ২০২৪
দুটি কবিতা
রোমান জাহান

দুটি কবিতা

কিছু কিছু বিষাদের সাথে আনন্দও বুক পকেটে রাখি ব্রহ্মপুত্রের মত একাকী বিবর্ণ হাওয়ায় সচকিত

কবিতা৭ মে, ২০২৪
 গাছ
হিমাংশু রায়

গাছ

চুপ করে বসে থাক আর শোন। গাছেরাও কথা বলে জানলাম কাল।  সকালে হাই তোলার মত করে গাছেরাও শব্দ করে শুকনো,ভেজা পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফ্যালে সকালের প্রথম হাওয়ায়। তারপর একটু হাত পা নাড়িয়ে ব্যায়াম করে, সকালের রোদে। শুকনো ডালগুলোর মড়মড় আওয়াজ শুনলে বুঝবি।

গদ্য৭ মে, ২০২৪
দুধারে ঈশ্বর 
স্মৃতি রায়

দুধারে ঈশ্বর 

একটি প্রাণবন্ত ফুঁয়ে একরাশ আঙুল এ কেমন বিমল ফুল নীল হাত নেড়ে বলে প্রজাপতি ছেলেবেলা তার ক্যাপশন

কবিতা৭ মে, ২০২৪
 চিঠি
অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়

চিঠি

ফিরে আসা চাঁদের উসকানি ঢুকে যাচ্ছে মাথার ভেতর মেঘের হাত ধরে পাথর খুঁজতে যাব তোমার কিনারে।

কবিতা৭ মে, ২০২৪
গণিত, অথচ
নীলাদ্রি দেব

গণিত, অথচ

অ্যাম্বুলেন্সের ডালা খোলা আছে গাছের শরীরে অন্য গাছের ছায়া তবু ওভারল্যাপ এইসব দৃশ্যভাবনার পাশে ঠোঁট, বরফ, বরফ কঠিন ঠোঁট গল্প বদলে যাচ্ছে

কবিতা৭ মে, ২০২৪
সোয়েটার
অবিন সেন

সোয়েটার

গন গনে নীল শিখা মেলে গ্যাসের উনুন জ্বলছে। কেটলিতে জল সেই কখন থেকে ফুটে চলেছে। বাষ্প হয়ে অর্ধেক জল মরে গেছে। সেই দিকে কোনও খেয়াল নেই নীলার। সে একটা বেতের গদি মোড়া আরাম চেয়ারে বসে আছে। কিচেনটা ঢের বড়। প্রায় প্রমাণ সাইজ একটা ঘরের মতো। এখানে বসে উলের কাঁটায় শব্দ তুলে সোয়েটার বুনে যাওয়া তার একমাত্র বিলাসিতা। শীতের দিনে আগুনের এই উত্তাপটা কী যে আরামের, নীলা তা কাউকে বোঝাতে পারবে না। গ্যাসটা কতক্ষণ জ্বলছে সে দিকে তার কোনও খেয়াল নেই। চায়ের জল বসানোটা আসলে একটা ছুতো। শীতের রাতে আগুনের উষ্ণতাকে সে প্রাণ ভরে উপভোগ করে নিচ্ছে। গ্যাস পুড়ছে পুড়ুক। সেই নিয়ে সে মাথা ঘামায় না। তার স্বামী বিপুলের টাকার অভাব নেই। তারা বিশাল ধনী না হতে পারে কিন্তু এই সব সামান্য বে-হিসেবী খরচ করার মতো তাদের ঢের পয়সা আছে।

গল্প৭ মে, ২০২৪
রবীন্দ্রনাথ থেকে বর্তমান : গ্রাম বাংলার জীবন যাপন
নাফিসা মিদ্যা

রবীন্দ্রনাথ থেকে বর্তমান : গ্রাম বাংলার জীবন যাপন

একটা গোটা সমাজের জীবন যাপনের মান নির্ভর করে, সেই সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিক অবস্থান, জ্ঞান চর্চা ও শিল্প চর্চা ইত্যাদির উপরে । জ্ঞানচর্চা বা শিল্পচর্চায় বাঙালি শুধু মাত্র আমাদের দেশে নয় সারা বিশ্বে সম্মানিত হয়ে এসেছে ।

গদ্য৭ মে, ২০২৪
দুটি কবিতা
দুর্জয় দাস

দুটি কবিতা

ব্যাপার তো নিশ্চই আছে। কাছে টানা নিদারুন নদী।  সরল ঝরাচ্ছে তার চোখ।হাসি কান্নার চুলচেরা।বেখেয়াল  শিশুসুলভ ।মোহনায় চিবুক নেমেছে।

কবিতা৭ মে, ২০২৪
মান্দার আগুন
রহিত ঘোষাল

মান্দার আগুন

কালো খাতার পাতার উপরে প্রলয় ঝড়, সেখানে যে বনান্ত, আমায় ডাকে, ছাইভস্ম আমায় ডাকে।

কবিতা৭ মে, ২০২৪
 বাঙালীর নববর্ষ
বরুন চন্দ্র বর্মন

বাঙালীর নববর্ষ

নববর্ষ হল বাংলা পঞ্জিবাঙালীর নববর্ষকার প্রথম মাসের পহেলা দিন। তথা বঙ্গাব্দের প্রথম দিন হলো বাংলার নববর্ষ। দিনটি সমগ্র বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। গতানুগতিক জীবনধারার মধ্যে নববর্ষ নিয়ে আসে নতুন সুর, নতুন উদ্দীপনা। পুরানো দিনের গ্লনি জোড়াকে মুছে দিয়ে এক রাশ হাঁসি, আনন্দ আর গান দিয়ে ভুলিয়ে দিয়ে যায় এই নববর্ষ। সেই প্রাচীনকাল থেকে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এটি বাঙালির অত্যন্ত প্রাণের উৎসব। শুধু আনন্দ উল্লাসই নয়, সকল মানুষের জন্য কল্যাণ কামনারও দিন। আমরা সকলেই সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশা নিয়েই মহা ধুমধামের  সঙ্গে আমাদের নববর্ষ উদযাপন করি। একে অন্যকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে বলি ”শুভ নববষ”। 

গদ্য৭ মে, ২০২৪
দুটি কবিতা
মেহেবুব আরা পারভীন

দুটি কবিতা

সম্মুখে আমিও ধূলিকনা- বন ও বনান্তরে গাছেদের আটপৌরে জীবন বেদ, কিংবা আলোকবর্ষ পেরিয়ে সন্ধানী কানাঘুষো এক শূন্য আকাশ আর শূন্যর ছয়লাপ খামেভরা মন কুয়োতে হাঁসফাঁস।

কবিতা৭ মে, ২০২৪
কাকন রেজার দুই কবিতা
কাকন রেজা

কাকন রেজার দুই কবিতা

একটা দুরন্ত নদী পুষে রাখি বুকের মধ্যখানে কবে জানি পাড় ভাঙে অভিমানে ২ উপচে পড়ছে পাড় ভেঙে পানি; মিমি বলে, জল পরিভাষা যা হোক, পড়ছে তো অবিরল

কবিতা৭ মে, ২০২৪
এখানে আসবে না কেউ
রঙ্গন রায়

এখানে আসবে না কেউ

চেক - হ্যালো টেস্টিং - শুনতে পাচ্ছেন? শুনুন – জানালা দিয়ে হাওয়া ঢুকে গেল। ক্যালেন্ডারটা উড়ছে। দেওয়ালে ঘষটানির একটা শব্দ। পুরোনো বছর উড়ছে। আমি ৩১শে ডিসেম্বরে এসেই থমকে গেছি। বাইরে নতুন বছর চলছে, আমি পুরোনো বছরে। কীরকম অদ্ভুত লাগে। কাকতালীয় ভাবে দেওয়াল ঘড়িটাও বন্ধ। ব্যাটারি শেষ।

গল্প৭ মে, ২০২৪
অবনী বাড়ি আছো
পার্থসারথী লাহিড়ী

অবনী বাড়ি আছো

“আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি সহসা শুনি রাতের কড়ানাড়া ‘অবনী বাড়ি আছ?”

গল্প৭ মে, ২০২৪
কয়েকটি কবিতা
তাসনুভা অরিন

কয়েকটি কবিতা

প্রয়োজনে পাতা ঝরানোর নাম বৃক্ষ সে পাঁজরে আটকে রাখে পৃথিবী পৃথিবী বললে সমুদ্র না দেখি বৃক্ষ আর মাটির কাহিনী।

কবিতা৭ মে, ২০২৪
দুটি কবিতা
শৌভিক দত্ত

দুটি কবিতা

যেভাবে বিরল থাকে আর আত্মহত্যার ছোট ছোট রাস্তা তৈরী হয় আমি জানি সমান্তরাল শুধুমাত্র পাশাপাশি বয়ে চলা নয়

কবিতা৭ মে, ২০২৪
বন্ধু
প্রাণজি বসাক

বন্ধু

আমি তো বন্ধু নই - কোন বন্ধুর জন্য হাতড়ে বেড়াও ঘুমঘোরে এপাশ ওপাশ সারারাত গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে

কবিতা৭ মে, ২০২৪
রবীন্দ্রগানে কথা এবং ভাব
উমাপদ কর

রবীন্দ্রগানে কথা এবং ভাব

রবীন্দ্রনাথের সমস্ত গানকেই কিছু পর্যায় বা পর্বে ভাগ করা হয়ে থাকে। যার একটি ‘স্বদেশ’ পর্যায়ের গান। সে গানের সংখ্যা খুব কম নয়। কারণ, রাজ ও সমাজনীতি নিয়ে কবির যথেষ্ট উৎসাহ তাঁর সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন বিভাগেই লক্ষ করা যায়। সেক্ষেত্রে গান আরও বেশি কমিউনিকেটিভ।

গদ্য৭ মে, ২০২৪
সঙ্গে লেডিস আছে
সত্যম ভট্টাচার্য

সঙ্গে লেডিস আছে

খ্যাঁচ করে বাসটা ব্রেক চাপতেই লোকজন সব পেছন থেকে একবারে হুমড়ি খেয়ে গায়ে পড়লো তৃষানের গায়ে আর তাতেই ওর চটকাটা গেলো ভেঙে। মুখ দিয়ে দু একটা ব কারন্ত শব্দ বেরিয়ে এসেছিলো আর একটু হলেই কিন্তু ঠিক তখনই তৃষানের মনে পড়লো এসব কিচ্ছু বলা যাবে না আজ কারণ সঙ্গে লেডিস আছে।

গল্প৭ মে, ২০২৪
দুটি কবিতা
ওয়াহিদা খন্দকার 

দুটি কবিতা

প্রশ্নের আড়াল থেকে অল্প আলোতে তাকে বেরিয়ে যেতে দেখেছি কিছু নীচ অক্ষর মিলিয়ে গান বাঁধতে দেখেছি... তারপর থেকেই কালো রঙের ঘাস খায় বিবর্ণ বেড়ালটা জেগে ওঠে যাবতীয় ভুল পথ...

কবিতা৭ মে, ২০২৪