৭ মে, ২০২৪
দুটি কবিতা
দিন শেষে
সম্মুখে আমিও ধূলিকনা-
বন ও বনান্তরে গাছেদের আটপৌরে জীবন বেদ,
কিংবা আলোকবর্ষ পেরিয়ে সন্ধানী কানাঘুষো
এক শূন্য আকাশ আর শূন্যর ছয়লাপ
খামেভরা মন কুয়োতে হাঁসফাঁস।
নিখাদ অণু-পরমাণুর রোমহর্ষক কীর্তিকলাপ
কিংবা সৃষ্টিসুখে প্রানীকূল
শৃঙ্খলিত বিশৃঙ্খলায় সময়ের বেহিসাব হিসাব।
অন্ন বস্ত্রের ঠিকানায় কাঙাল প্রশ্নেরা
জলকেলি করো ঐ মুক্ত দরিয়ায়
কিংবা মেখে নাও গ্যালাক্সির আনাচে প্রসাধন।
এ আর এক ধূলিঝড়,মেঘেদের বাড়ি ফেরাফেরি
কেউ কি বসে আছে কনা কনা বাষ্প পরিমাপে?
বিপ্রতীপ স্বপ্নে
জীবন বদলের ফেরিওয়ালা তুমি-
যারপরনাই দুরন্ত স্বপ্নের ডালি ফেরি করো ,
উদোম্ স্রোতে ভাসিয়ে দাও সাবলীল বৈঠা,
হিমাঙ্কে বাঁচিয়ে রাখো কবোষ্ণ স্নিগ্ধতা।
তোমার উৎসারিত দিগন্তে মেঠোহাসি
খুঁজে নেয় পেলপ স্বপ্নের রামধনু।
তুমি মরূদ্যান হয়ে ঊষর মেরুতে জাগাও
জল আর মাটির সম্পৃক্ত সম্পর্ক সুখ,
তীব্র অমানিশায় তোমার দৃপ্ত দ্যুতির ছয়লাপে
ঘুচে যায় কালিমার দৃঢ় প্রলেপ।
তোমার সুরভিত ঠোঁটে গুনগুন করে ওঠে
মাটি আর মননের অসম্ভব গীতবিতান,
বাউলের একতারায় বাজিয়ে চলো-
নদী আর কাব্যের নৃত্যের জনরব।
সহজপাঠ আর নামতার স্তোত্র সকালে
আমি ও ফেরিওয়ালা হবো বলে-
বছরভর জীবনের আটপৌরে পাঁচালি লিখে গেছি,
আজও আউসের একটি কণাও পৌঁছে দিতে পারিনি
গৃহস্থের কাঙাল আঙিনায়। ।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
ওয়াহিদার হোসেন
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
কবিতা৭ মে, ২০২৪
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
কবিতা৭ মে, ২০২৪
শ্রী সদ্যোজাত
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,
কবিতা৭ মে, ২০২৪