কবিতা
সকল পোস্টসমূহ
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,
দুটি কবিতা
কিছু কিছু বিষাদের সাথে আনন্দও বুক পকেটে রাখি ব্রহ্মপুত্রের মত একাকী বিবর্ণ হাওয়ায় সচকিত
দুধারে ঈশ্বর
একটি প্রাণবন্ত ফুঁয়ে একরাশ আঙুল এ কেমন বিমল ফুল নীল হাত নেড়ে বলে প্রজাপতি ছেলেবেলা তার ক্যাপশন
চিঠি
ফিরে আসা চাঁদের উসকানি ঢুকে যাচ্ছে মাথার ভেতর মেঘের হাত ধরে পাথর খুঁজতে যাব তোমার কিনারে।
গণিত, অথচ
অ্যাম্বুলেন্সের ডালা খোলা আছে গাছের শরীরে অন্য গাছের ছায়া তবু ওভারল্যাপ এইসব দৃশ্যভাবনার পাশে ঠোঁট, বরফ, বরফ কঠিন ঠোঁট গল্প বদলে যাচ্ছে
দুটি কবিতা
ব্যাপার তো নিশ্চই আছে। কাছে টানা নিদারুন নদী। সরল ঝরাচ্ছে তার চোখ।হাসি কান্নার চুলচেরা।বেখেয়াল শিশুসুলভ ।মোহনায় চিবুক নেমেছে।
মান্দার আগুন
কালো খাতার পাতার উপরে প্রলয় ঝড়, সেখানে যে বনান্ত, আমায় ডাকে, ছাইভস্ম আমায় ডাকে।
দুটি কবিতা
সম্মুখে আমিও ধূলিকনা- বন ও বনান্তরে গাছেদের আটপৌরে জীবন বেদ, কিংবা আলোকবর্ষ পেরিয়ে সন্ধানী কানাঘুষো এক শূন্য আকাশ আর শূন্যর ছয়লাপ খামেভরা মন কুয়োতে হাঁসফাঁস।
কাকন রেজার দুই কবিতা
একটা দুরন্ত নদী পুষে রাখি বুকের মধ্যখানে কবে জানি পাড় ভাঙে অভিমানে ২ উপচে পড়ছে পাড় ভেঙে পানি; মিমি বলে, জল পরিভাষা যা হোক, পড়ছে তো অবিরল
কিশোর কাহিনি
সেই বাড়ীটা কখনই ডিঙ্গানো হয়নি শুধু ফটকে দাড়িয়ে দেখেছি সুদৃশ্য স্বপ্নের দারুচিনি জানালার পর্দার সাথে উড়েছে ঈর্ষাকাতরতার ভেতর এক কিশোরের কাছে মায়াবী এক শহর
কয়েকটি কবিতা
প্রয়োজনে পাতা ঝরানোর নাম বৃক্ষ সে পাঁজরে আটকে রাখে পৃথিবী পৃথিবী বললে সমুদ্র না দেখি বৃক্ষ আর মাটির কাহিনী।
ছবি আঁকার স্কুল
পাড়ার প্রাইমারি স্কুলে ছুটির দিনে ছবি আঁকা শেখায় নবকাকা সবাই ছেলে মেয়েকে আঁকা,কম্পিউটার, গান,নাচ,তবলা,ক্যারাটে পন্ডিত করতে চায় ছত্রাক রঙের সারি সারি হরেক রকমের পাঠশালা
দুটি কবিতা
যেভাবে বিরল থাকে আর আত্মহত্যার ছোট ছোট রাস্তা তৈরী হয় আমি জানি সমান্তরাল শুধুমাত্র পাশাপাশি বয়ে চলা নয়
বন্ধু
আমি তো বন্ধু নই - কোন বন্ধুর জন্য হাতড়ে বেড়াও ঘুমঘোরে এপাশ ওপাশ সারারাত গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে
দুটি কবিতা
প্রশ্নের আড়াল থেকে অল্প আলোতে তাকে বেরিয়ে যেতে দেখেছি কিছু নীচ অক্ষর মিলিয়ে গান বাঁধতে দেখেছি... তারপর থেকেই কালো রঙের ঘাস খায় বিবর্ণ বেড়ালটা জেগে ওঠে যাবতীয় ভুল পথ...
কয়েকটি কবিতা
বহুদূরে একটা গাছের শরীরে ঘুমিয়ে পড়েছে চড়ুই তার দেহ জুড়ে ক্লান্ত অবস্বাদ ঘুমিয়ে পড়বার আগে কী ভেবেছিল পাখি? হয়তো তার মা অপেক্ষা করছে, অথচ ভাইয়েরা নবী ইউসুফের মতো তাড়িয়ে দিয়েছিল ঘর থেকে, গহীনে।
দুটি কবিতা
তুমি সুদীর্ঘ মৌনতা নিয়ে / বিরান প্রান্তে একাকী ময়ূরী / ঘোর বরষায় / ভেঙে ভেঙে যায় ভরা বিকেল / খসে খসে পড়ে ফলবতী চাঁদ আর / সূর্য দহনে আমার জ্বালা পোড়া হয়/
দুটি কবিতা
পিকনিক বসেছে আলু কপির আই ডি ঘষে ঘষে পরীক্ষা এদিকটা কনভয় শুধু বালি বা বরফেই যুদ্ধ আটকে থাকে না আমার খিচুড়ির বালতিও ফুঁসে উঠছে অভিমান
দুটি কবিতা
আমার চোখে দেখো, গভীর চোখে- করুণ বনাঞ্চলে এক ফুল ফুটে আছে। উন্মুখ তবু চুপ,নৈঃশব্দে বনানীর বাড়ন তাই,ফুল ফুটার সুখেও সুর গান বারণ।
নতুনভাবে শিখে নাও
যাদেরকে তালুতে তুলে রেখেছি তাদের দেখলে তুমি শিউরে উঠবে, শুধু তাদের কথা বলব কেন এই সাক্ষাৎকারে, তুমিও বলো ভালো-মন্দ বা যা যা অন্যায় হয়েছে তোমার সাথে, বাড়িতে সবাই কেমন আছে,
কয়েকটি কবিতা
এতটা নিখুঁত হলে চলে না কিছুটা খুঁত নিয়ে দিব্যি বেঁচে থাকা যায়। কখনো হাসির গমকে ব্যথার বাদ্য বেজে উঠলে কখনো সুরের গভীরে আরেক সুরের বোঝাপড়া হলে সহজেই মুছে ফেলা যায়- দৃশ্যবাহিত দিন।
ওয়াহিদার হোসেনের তিনটি কবিতা
অস্ত্বিত্বের সবটুকু কিংবা অস্থির সবটুকু ঝাপ্সা ভাসিয়ে দিতে চাই পবিত্র স্রোতে
জ্যোতির্ময় বিশ্বাসের দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব চলচ্চিত্রের মতো, তখন আমাদের দেখানো হোক একটি মানুষের নিবিড়
বাতাসের স্পর্শে
এসো ছুঁয়ে যাও জল হয়ে দাগ হয়ে আমার যা কিছু আমার
আমার শহর
অহংকার ক্ষয়ে ঝরছে মূর্হুমূহু বিস্ফোরণে ব্যাকরণ ভেঙে চেতনা দ্যোতক রাত্রি কুকুরের মতো পায়ে পায়ে ঘুরছে কেবল
রঙ্গমঞ্চ
পাড়ায় রক্তকরবী নাটক হচ্ছে। বলল সবাই
নাফিসা মিদ্যার দুটি কবিতা
সাবধানতায় অভাব ছিল না জোগাড় ছিল বাছাই করা নামি দামি সুগন্ধির তবুও অকাঙ্খিত গন্ধটাই ছড়িয়ে পড়ল জলজ্যান্ত কলের পুতুল গুলো হঠাৎ নড়ে গেল বাঁধা পথ ছেড়ে দলে দলে মিশে গেল ভীড়ে
ফেরী হাতে তাকে ডাকি
ফেরী হাতে তাকে ডাকি সেই ছেড়ে আসছি আয়না, ধুলোয় আঁকো সাদা পথ হেটলাইটে চাপা পড়া বৃষ্টি বাকল অন্ধকার ভোর, পা-ধোয়া নরঘাট চর আমি ফেরী হাতে তাকে ডাকি পুরোনো ঠিকানায়।
কয়েকটি কবিতা
খতম তালিকার বাইরে যে দরবেশ গুচ্ছ বাতাস আমায় অক্ষর দেবে দেবে সোহাগচিহ্নের ছটফটে ঘর নাদানে ঝকঝকে টিউকল বসেছে সে পোশাক চেনায় সে সামন্ততান্ত্রিক
আবহ
যে পথ রোজকার দেখা,তার সামান্য দূরত্ব থেকে হাঁটু মুড়ে,চুপচাপ এই তাকিয়ে থাকা এ যেন নিজের ভেতর থেকে নিজেকে খুলে ফেলা
রঞ্জন মৈত্রের দুটি কবিতা
প্রশ্ন উত্তর সব ঝ'রে গেলে ফাঁকা ফাঁকা স্কুল নো ম্যানস ল্যাণ্ডের গাছ শীত বসন্তের বিএসএফ কি যেন পাচার হবে নির্ধারিত আলোয় গুলি ছুটবে দ্রুত আর স্কুল হওলে হওলে ধরা পড়ার পথে পথে ছড়ানো লুজ শিট
সাজ্জাদ সাঈফের তিনটি কবিতা
১. নিঃসঙ্গ : অচেনা পাখির শিস তাড়া করে বৈচিত্র্যে। বেড়ে উঠি তত্সম বোধে, মেঘের আদরে, মাতৃভাষায়! তারপর ঘাস ডুমুর ছড়ানো ঘাস ভিটার মাচানে ঘাস সমুদ্র সম্ভ্রমে কারো হৃদয় অংকন করে!
যে সময় স্থির হতে জানে না
ধন্যযোগ আপনাকে, আমাদের এভাবে সাহসী করে তোলার জন্য নইলে তো ভেবে নিয়েছিল সকলে ফসিল আমরা, সবেতেই বড় বেশি প্রসন্ন সিংহাসনে বসলে রাজা একবার পুজো দিই, পাদ্যঅর্ঘ, যেন ভগবান স্বর্গ থেকে নির্বাচিত, নেমেছেন দয়া করে
ভাত ঘুম ও শব্দ
(১) যেন সে সমবয়সি মাথা গুঁজে রাখে শিশুর ঘুমন্ত দরজার বন্ধ ঈশ্বরে । তাদের কাছেই হাজারও পাকস্হলী লুপ্ত হয়ে ফিরে আসে ।কি নিষ্ঠুরতায়? দুশো আড়াইশো বছর সুখী করে উনুন । তুষের আগুনে সেই বৃদ্ধ হাত পা গুটিয়ে বসেছিলো ।
কয়েকটি কবিতা
ঠিক একদিন উড়ে যাবে মায়া ফেলে,ছায়া ও খাঁচা ফেলে দূরে,বহুদুর যতটা বলে চিনিয়ে ছিল আকাশ বাতাস পৃথিবী মা মাতৃভূমি
চারটি কবিতা
বিশ্বাসের প্রশাখায় ধোঁকার নীলাভ ফুল নিজস্ব মণিকর্ণিকায় হেরে যাই তোমার প্রথম দিন আর তোমার শেষ দিনের মাঝে সাতটি গিরগিটি
কয়েকটি কবিতা
নাভিতে ভীষন শীত।তোমার স্তনে আঙুল রাখি। ঘাড়ে হাত বোলাই ভাঁজ করা রুমালের মত। ক্লিভেজে ঘাম জমলে দেখতে পাই সক্রিয় তিল সঙ্গম অনেকটাই ডুবসাঁতার। বিবাহ মানে আংটি ও আঙুল। মধ্যরাতের সঙ্গম শেষ হলে হেমন্তের মাঠে বেজে ওঠে সা রে গা মা