মড়ক লেগেছে নাকি খরা ! বাঙালি মনন বাঙালির ভাষা, বিস্মৃত তার ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব । সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে এই ধারণা ভীষণ রকম ভুল বলে প্রমাণিত হবে। বছরে বছরে যেভাবে গজিয়ে উঠছে অগণন লিটিল ম্যাগাজিন , সামাজিক মাধ্যমে অবিরত বয়ে যাচ্ছে সাহিত্যের বহতা ধারা । কিন্তু সেখানে কোথায় মননশীল বাঙালিত্বের ঐক্য , কোথায় অদ্বিতীয় আঙুলের দাগ। আমাদের লেখনিতে খুঁজে পাচ্ছি কই শৈল্পিক শ্লাঘা ? আবালবৃদ্ধবনিতাকে জয় করার মতো শিল্প কোথায় আমাদের সত্তায় । সত্তাকে তো হারিয়ে ফেলছি , আগামীর জন্যও কি দিয়ে যাব শুধুমাত্র স্মৃতির উত্তরাধিকার? স্মৃতির সিন্দুক আর কতদিন বইবে আমাদের পথের খরচ ? এখনও সময় আছে , এখনও বৈশাখ বেঁচে আছে। এই বৈশাখ একদিন বাঙালির হাত ধরে বিশ্বকে উপহার দিয়েছিল রবিঠাকুর। সেই পঁচিশের বৈশাখে, চলুন না আবার আমরা হাতে হাত রাখি, একটা কালবৈশাখী নামাই , আগামীর অতীতকে দিয়ে যাই আরও একটা গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট
আমার রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ হলেন জ্ঞান ও বোধ। তোমাদের আঁচলে কি ? কি বাঁধা আছে ? জ্ঞান ও বোধ বেঁধে রেখেছো কেন ? আঁচলে চাবি গোছা।তার সাথে রবীন্দ্রনাথ।সকল মায়ের আঁচলে বাঁধা।সন্তান ছুটতে ছুটতে চলে এল।চোখে ঘাম।মুখে ঘাম।পায়ে ধুলা।ছেলে মেয়ের পৃথক গামছা।গামছায় ছেলে মেয়ে পরিস্কার হল। মা ওদের তো রবীন্দ্রনাথ দিলে না ? রবীন্দ্রনাথ গামছায় নেই।রবী আছেন আঁচলে।
রঞ্জিত কথা - শঙ্খ ঘোষ
রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি-র সেই কথা মনে পড়ে –‘আমাদের ভিতরের এই চিত্রপটের দিকে ভালো করিয়া তাকাইবার আমাদের অবসর থাকে না। ক্ষণে ক্ষণে ইহার এক-একটা অংশের দিকে আমরা দৃষ্টিপাত করি। কিন্তু ইহার অধিকাংশই অন্ধকারে অগোচরে পড়িয়া থাকে’। সেই অন্ধকারে এঁকে রাখা ছবিগুলো যা রঞ্জিত সিংহ’র ভেতরে একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে থেকে গিয়েছিলো, আমি সেগুলোকেই আলোয় আনতে চেয়েছি। ‘রঞ্জিতকথা’ তাই।
গাছ
চুপ করে বসে থাক আর শোন। গাছেরাও কথা বলে জানলাম কাল। সকালে হাই তোলার মত করে গাছেরাও শব্দ করে শুকনো,ভেজা পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফ্যালে সকালের প্রথম হাওয়ায়। তারপর একটু হাত পা নাড়িয়ে ব্যায়াম করে, সকালের রোদে। শুকনো ডালগুলোর মড়মড় আওয়াজ শুনলে বুঝবি।